চণ্ডীতলা থানার আইসির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার তদন্তে গঠন করা হলো ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’। চণ্ডীতলা থানা যে হেতু হুগলি গ্রামীণ পুলিশের আওতায়, তারাই এই কমিটি গঠন করেছে। বুধবার রাতে ঠিক কী ঘটেছিল, কেন গুলি চলল, কেন ওই আইসি ওখানে গিয়েছিলেন, যে তরুণীর কথা শোনা যাচ্ছে, তাঁর ভূমিকাই বা কী ছিল— সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজবে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।
এর পর রিপোর্ট তৈরি করে তা হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। তবে গ্রামীণ পুলিশের পাশাপাশি হাওড়া সিটি পুলিশও এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার মধ্য হাওড়ার ঘোষপাড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন হুগলির চণ্ডীতলা থানার আইসি জয়ন্ত পাল। তাঁর বাঁ হাতে গুলি লাগে। জানা যায়, ঘটনার সময় তাঁর সঙ্গে এক তরুণী ছিলেন। আপাতত হাওড়ারই এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জখম আইসি।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ হাওড়া ঘোষপাড়া পেট্রোল পাম্পের সামনে গুলি চলার আওয়াজ শোনা যায়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সাদা একটি গাড়ির সামনে লুটিয়ে পড়েন একজন। পরে জানা যায়, তিনি চণ্ডীতলা থানার বড়বাবু। ঘটনার সময় গাড়িতে একজন মহিলা ছিলেন বলেও সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। যদিও খুব বেশি তথ্য এখনও মেলেনি।
কিন্তু কে গুলি চালাল? কেনই বা গুলি চলল? গুলি চালানোর জন্যই তা চালানো হয়েছে, নাকি ভুল করে বন্দুকে হাত পড়ে এই ঘটনায় প্রশ্ন অনেক।