• বড়তলার সেই একরত্তি হাসপাতালের বেডে বাঁচার লড়াই লড়ছে, কেমন আছে এখন?
    এই সময় | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • বড়তলায় ফুটপাথে শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে নিম্ন আদালত। এই রায় দেওয়ার সময় ঘটনাকে ‘বিরলতম অপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছেন বিচারক। এ দিকে নির্যাতনের শিকার, সেই ছোট্ট ফুলের মতো শিশুকন্যা শহরের এক সরকারি হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা পিকুতে চিকিৎসাধীন। বাঁচার লড়াই লড়ছে সেই একরত্তি। কেমন আছে এখন, তার খোঁজ নিতে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে গিয়েছিল শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল। কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাসের নেতৃত্বে চার জনের প্রতিনিধি দল যান।

    সাত মাসের শিশুটিকে দেখার পাশাপাশি পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস জানান, ভাল চিকিৎসা হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনায়, একজন যা যা সরকারি প্রকল্পের সহযোগিতা পায়, শিশু ও তার পরিবার, তা পাবে। তার পরিবারের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে, গ্রামে ফিরতে চান। শিশুকে নিয়ে গেলে, তার পুষ্টিগত কোনও সমস্যা যাতে না হয়, জেলাশাসককে জানানো হবে।

    জেলাতে শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের যে প্রতিনিধিরা রয়েছেন, তাঁদের গোটা বিষয়টি দেখভাল করতে বলা হয়েছে। যে হেতু বাবা, মা এই শিশুকন্যাকে নিয়ে রাস্তার ধারে থাকতেন, তাঁদের কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও নেই। এ বার তা খোলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

    গত ৩০ নভেম্বরের ঘটনা। বড়তলা থানা এলাকার এক ফুটপাথবাসী তাদের কোলের সন্তানকে খুঁজে পাচ্ছেন না বলে থানায় অভিযোগ জানান। অভিযোগ জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এর পরই নৃশংস সেই সত্যি সামনে আসে।

    কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়েছিলেন, খুঁড়িয়ে হাঁটার ধরনই ধরিয়ে দেয় অপরাধীকে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ৪ ডিসেম্বর ঝাড়গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। ৭৯ দিনের মাথায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ফাঁসির সাজা শোনানো হয়।

  • Link to this news (এই সময়)