• অবন-স্মৃতির ‘আবাস’ ভেঙে আবাসন! বোলপুরে হইচই শুরু হতেই পুরসভা গিয়ে বন্ধ করে দিল কাজ
    আনন্দবাজার | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • অবশেষে শান্তিনিকেতনে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি ভাঙার কাজ বন্ধ করে দিল বোলপুর পুরসভা। কয়েক দিন আগে ওই বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হতেই সরব হয়েছিলেন বিশ্বভারতীর আশ্রমিক, প্রাক্তনী থেকে শুরু করে অধ্যাপক ও কর্মীরা। সেই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছিল জেলা প্রশাসন। বুধবারই ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকেরা বাড়িটি পরিদর্শন করে এসেছিলেন। এর পর বৃহস্পতিবার পুরসভার আধিকারিকেরা সেখানে গিয়ে বাড়ি ভাঙার কাজ বন্ধ করে দেন। বাড়িটির গেটও ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে জানিয়েছে পুরসভা।

    ‘মানুষের সঙ্গ পেয়ে বেঁচে থাকে বসত-বাড়িটা’— ‘আপনকথা’য় লিখেছিলেন অবনীন্দ্রনাথ। তাঁর পুত্র অলোকেন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে এক বিঘা জমির উপরে একটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন। নাম দিয়েছিলেন ‘আবাস’। শোনা যায়, অবন ঠাকুর এক-দু’বার এসেওছিলেন বাড়িটিতে। সেই বাড়িকে কেন্দ্র করেই এলাকার নামকরণ হয়েছিল অবনপল্লি। সেই ‘আবাস’ ভাঙার কাজ শুরু হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই হইচই শুরু হয়েছিল বোলপুরে।

    স্থানীয়দের একাংশের দাবি, অবন ঠাকুরের বংশধরেরা জায়গাটি প্রোমোটারকে বিক্রি করে দিয়েছেন। তার পরেই ‘আবাস’ ভাঙার কাজ শুরু হয়। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, অবন ঠাকুরের স্মৃতি-ধন্য বাড়ি সংরক্ষণ না করে কেন ভাঙা হবে। বিশ্বভারতীর এক প্রাক্তন কর্মী বলেন, ‘‘এমন করেই এক সময়ে রতনপল্লিতে দীনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত ‘সুরোপুরী’ বাড়িটি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে!’’

    বৃহস্পতিবার পুরসভার আধিকারিকেরা গিয়ে বাড়িটি ভাঙার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। পরে বোলপুরের পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা বাড়ি ভাঙার বিষয়টি নিয়ে কিছুই জানতাম না। যে মুহূর্তে জেনেছি, সেই মুহূর্তে পদক্ষেপ করেছি। স্মৃতি বিজড়িত বাড়িগুলির ঐতিহ্য বজায় রাখার এই চেষ্টা আমরা সব সময় করে যাব। বাকিটা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

  • Link to this news (আনন্দবাজার)