• সঠিকভাবে খরচ করতে হবে প্রকল্পের সম্পূর্ণ অর্থ
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫


  • প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থ খরচের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে পদক্ষেপ করেছে নবান্ন। অর্থ যাতে সময় মতো পুরোটা খরচ হয় এবং ফেরত না যায় সেই উদ্যোগ নেওয়া হল। এর জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিল নবান্ন। বুধবার একটি নির্দেশিকা জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

    উল্লেখ্য, প্রতি অর্থবর্ষের শেষের দিকে সব দপ্তরের মধ্যে অর্থ খরচের হিড়িক বেড়ে যায়। সেই কারণে শেষের দিকে ভুলভ্রান্তির সম্ভাবনা থাকে। এই ভুলভ্রান্তি যাতে না হয় এবং প্রকল্পের কাজ যাতে স্বচ্ছভাবে করা যায়ে সেই কারণে নবান্নের তরফে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। নবান্ন জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে কোনও দপ্তরের কোনও ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না।

    এদিন নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রকল্পের টাকা পুরোটা এবং সঠিক সময়ে খরচ করতে হবে। শেষ বেলায় এসে তাড়াহুড়ো করলে চলবে না। অর্থ খরচ করার ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য রাখতে হবে। যাতে কোনও অসুবিধার মধ্যে পড়তে না হয়। পাশাপাশি অর্থ খরচের ক্ষেত্রে সবরকম স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। প্রকল্পের কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় সেই কারণে এই সব উদ্যোগ নিয়েছে নবান্ন। নাগরিক পরিষেবার বিষয়ে কোনও আপস করতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে প্রথম থেকেই কাজের নিয়ম বলে দেওয়া হচ্ছে। বেঁধে দেওয়া হচ্ছে সময়সীমাও।

    মার্চ মাসের জন্য সরকারি কর্মী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গ্রন্থাগার, পঞ্চায়েতের কর্মীদের বেতন ও মাসিক ভাতা বা মজুরি ও পেনশন ২ এপ্রিলের মধ্যে দেওয়া হবে। এছাড়াও নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একসঙ্গে প্রচুর বিল জমা পড়লে সমস্যা তৈরি হতে পারে। সেই কারণে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সেগুলি পাঠাতে হবে। ট্রেজারি বা পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিসে কোনও বিল বা চালান কত তারিখের মধ্যে পাঠাতে হবে, বিজ্ঞপ্তিতে তার তালিকা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অবসরকালীন ভাতা বা টিএ বিল, কর্মীদের বকেয়া সংক্রান্ত বিষয়ও স্পষ্ট করা হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২৮ মার্চের পর পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিসে বা ট্রেজারিতে বিল পাঠানো যাবে না। ১৩ মার্চের মধ্যে যে বিলগুলি ফেরত দেওয়া হয়েছিল বা আপত্তি জানানো হয়েছে সেগুলি নতুনভাবে পাঠানোর শেষ তারিখ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৭ মার্চের মধ্যে সেগুলি পাঠানোর নির্দেশ এসেছে। স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, চেক বা শূন্য বিল (নিল বিলস) বা পিএল ট্রান্সফার স্টেটমেন্টের ব্যাক অ্যান্ড ডেলিভারি কোনওভাবেই অর্থবর্ষ শেষ হলে আর নেওয়া যাবে না। অর্থ দপ্তরের নির্দিষ্ট সম্মতি না থাকলে কোনও অগ্রিমও নেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)