• নামী সংস্থার জাল ওষুধ বিক্রি, অভিযানে ধৃত ১
    এই সময় | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • রমরমিয়ে চলছিল জাল ওষুধের রমরমা। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। ড্রাগ কন্ট্রোল দপ্তরের আধিকারিকদের হানায় উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ জাল ওষুধ। সেই সঙ্গে জাল ওষুধ বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে একজনকে।

    হাওড়া জেলার ড্রাগ কন্ট্রোল অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আমতার একটি ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থা জাল ওষুধের ব্যবসা করছিল। একটি নামী ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার রক্তচাপের জাল ওষুধ বিক্রির অভিযোগ এসেছিল আমতার একটি ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ পাওয়ার পরে, বৃহস্পতিবার ওই সংস্থার গুদামে হানা দেন রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল দপ্তরের আধিকারিকরা। ওই গুদামে হানা দিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার জাল ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি জাল ওষুধ বিক্রির অভিযোগে ওই ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থার মালিক বাবলু মান্নাকে গ্রেপ্তার করেছে ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের আধিকারিকরা।

    জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ৩০০টি প্রয়োজনীয় ওষুধের উপর কিউআর কোড লাগিয়ে দেয় সংশ্লিষ্ট ওষুধ কোম্পানি। সম্প্রতি একটি নামী ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার নজরে আসে তাদের তৈরী রক্তচাপ ওষুধের কিউআর কোড জাল করা হয়েছে। এরপরেই ওই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার পক্ষ থেকে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলে অভিযোগ জানানো হয়। এই নিয়ে তদন্ত করে ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের আধিকারিকরা জাল ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থা হিসেবে আমতার একটি ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থার সন্ধান পায়। তার পরেই বৃহস্পতিবার বিকালে ওই ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থার গুদামে হানা দিয়ে ২০ লক্ষ টাকার জাল ওষুধ বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা । ড্রাগ কন্ট্রোল আধিকারিক সূত্রে খবর এই জাল ওষুধ বিহার থেকে আনা হয়েছে। ওই সংস্থা ১ কোটি টাকার বেশী জাল ওষুধ বাজারে বিক্রি করেছে। সেইসব জাল ওষুধ কোথায় দেওয়া হয়েছে এবং এই ঘটনার পিছনে আর কারা জড়িত আছে তা নিয়ে তদন্ত করছেন ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের আধিকারিকরা।

  • Link to this news (এই সময়)