• ‘এত কিছু জানতামই না’! দেনার জন্য দে ভাইদের ‘আত্মহত্যার দাবি’ মানতে পারছেন না আত্মীয়েরা
    আনন্দবাজার | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • বাইপাসে দুর্ঘটনার পরে দে পরিবারের আহত সদস্যেরা দাবি করেছিলেন, দেনা, আর্থিক সমস্যার কারণেই ছ’জন মিলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও এই দাবি নিয়েই তৈরি হয়েছে জল্পনা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট যে, দে পরিবারের তিন মহিলা সদস্যকেই খুন করা হয়েছিল! যদিও মৃতদের আত্মীয়দের দাবি, চামড়ার ব্যবসা করা দে পরিবারের যে আর্থিক অনটন ছিল, সে বিষয়ে কিছুই জানতেন না তাঁরা।

    মুম্বই থেকে এসেছেন মৃত সুদেষ্ণার ভাই। ২০০৫ সালে তাঁর বাবা, মা মারা যান। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সুদেষ্ণার সঙ্গে শেষ বার কথা হয়েছিল তাঁর ভাইয়ের। কলকাতা থেকে মুম্বই ফিরে যাওয়ার আগে দিদিকে ফোন করেছিলেন। সে সময় দিদি আর্থিক সমস্যা নিয়ে কোনও কথা বলেছিলেন কি না, তা জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই প্রক্রিয়ার ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টা আগে মৃত্যু হয়েছে সুদেষ্ণার, রোমি এবং রোমির কিশোরী-কন্যার। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত হয়েছে। সেই হিসেবে, সম্ভবত মঙ্গলবারই তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, তার আগের দিনই ভাইয়ের সঙ্গে শেষ বার কথা বলেছিলেন সুদেষ্ণা। বুধবার সকালে দে পরিবারের তিন পুরুষ সদস্যের গাড়ি ধাক্কা দেয় বাইপাসের ধারে স্তম্ভে। তাঁরা এখন হাসপাতালে ভর্তি।

    বৃহস্পতিবার সকালে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে রোমি দে, সুদেষ্ণা দে এবং এক কিশোরীর ময়নাতদন্ত হয়। সেখানে দাঁড়িয়েই আত্মীয়স্বজনেরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করেন। এক আত্মীয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘আমরা সব জানি। আপনাদের বলতে পারছি না। এটা আমাদের মধ্যেই থাকতে দিন।’’ অন্য এক পরিচিত উ়ড়িয়ে দেন আর্থিক সমস্যার অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘‘যা জীবনযাপন ছিল, যা বাড়ি! দেখে বোঝার উপায় ছিল!’’

    হাসপাতালে এসেছিলেন মৃত রোমির বাবা। তিনি মেয়ে এবং নাতনিকে দেখতে এসে ভেঙে পড়েন। কিছুটা উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘‘এত কিছু জানতাম না!’’ মৃতার আর এক আত্মীয় বলেন, ‘‘এত কিছু টের পেলে কি এটা হতে দিতাম!’’ আর্থিক সমস্যার কথা দে পরিবার কি তাঁদের জানিয়েছিল? প্রশ্নের জবাবে তাঁরা স্পষ্ট জানান, এই নিয়ে কিছুই জানায়নি ওই পরিবার।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)