• ‘‌পরিষেবা দেবে রাজ্য উপাচার্য ঠিক করবে কেন্দ্র!‌’‌, বিধানসভায় বড় ঘোষণা ব্রাত্যর
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • আবার শিক্ষানীতি নিয়ে কেন্দ্র–রাজ্যের মধ্যে সংঘাতের আবহ তৈরি হল। আর এখন তা নিয়ে সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য বিধানসভা। কেন্দ্রীয় সরকারের গৈরিকীকরণ নীতি যে একেবারে মানা হবে না সেটাও স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিলেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আর শিক্ষানীতিতে কেন্দ্রীয় সরকার বদল আনার নাম করে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখার চক্রান্ত করছে। এই চক্রান্ত বাস্তবায়িত হতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী। আর এই অভিযোগ তুলে আজ বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পেশ হল নতুন শিক্ষানীতি। আর আজই তা পাশও হয়ে যায়।

    এই উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর দ্বৈরথ আগে সকলেই দেখে ছিল। সে বিষয়টি নিয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। যদিও তাতে রাজ্যপালকেই পিছু হঠতে হয়। সুপ্রিম কোর্টের গঠিত সার্চ কমিটির মাধ্যমেই স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে। আর আজ এই বিষয়ে বিধানসভায় সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‌বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি খুঁজে বের করা, বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ, অধ্যাপক, অশিক্ষক কর্মচারীদের বেতন, ছাত্রদের পড়ার খরচ, নানা পরিষেবা সব দেবে রাজ্য সরকার আর উপাচার্য ঠিক করবে কেন্দ্র। এটা গৈরিকীকরণ ছাড়া আর কী! তাই কেন্দ্রের সার্চ কমিটির বিরুদ্ধে নতুন শিক্ষানীতি।’‌


    জাতীয় শিক্ষানীতির কিছু অংশ রাজ্যের শিক্ষানীতিতেও আছে। কিন্তু উপাচার্য নিয়োগ করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের আদেশ, নির্দেশ মানতে নারাজ রাজ্য সরকার। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, এতদিন উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে পাঁচ জনের সার্চ কমিটি ছিল। যেখানে রাজ্যপালের একজনের প্রতিনিধি, মুখ্যমন্ত্রীর একজন প্রতিনিধি, রাজ্যের শিক্ষা সংসদ, ইউজিসির এবং বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিলের একজন করে সদস্য থাকতেন। এই পাঁচজনের কমিটি কমিয়ে তিনজনে নামিয়ে আনতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। যা মানতে নারাজ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। আর এই নিয়ে দু’‌পক্ষের মধ্যে সংঘাত আবহ তৈরি হয়েছে।

    কেন্দ্রীয় সরকার যে নির্দেশ দিয়েছে সার্চ কমিটি নিয়ে সেটা মানতে নারাজ বাংলার পাশাপাশি তামিলনাড়ু, কেরল, কর্নাটক, পঞ্জাব–সহ বেশ কিছু রাজ্য। এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‌এখন কেন্দ্র বলছে পাঁচজন নয় তিনজনের কমিটি করতে হবে। তার মধ্যে ইউজিসির একজন, রাজ্যপালের একজন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল মেম্বার একজন থাকবেন। সেক্ষেত্রে তিনজনের মধ্যে দু’‌জন কেন্দ্রের। ওরা এভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করতে চাইছে। তারই প্রতিবাদে আমরা বিধানসভায় স্পিকারের অনুমতি নিয়ে নতুন শিক্ষানীতি পেশ করেছিলাম। সেটা পাশও হয়ে গিয়েছে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)