সংবাদদাতা, ডোমকল: দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর ও পিছমোড়া করে বেঁধে রাতের অন্ধকারে দোকানের শাটার ভেঙে দুঃসাহসিক লুটপাট চালাল দুষ্কৃতীরা। বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জলঙ্গির পাকুড়দিয়াড়ে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সোনা ও নগদ টাকা নিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়েছে বলে থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন দোকানের মালিক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিস কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জলঙ্গির পাকুড়দিয়াড়ে সোনার দোকান রয়েছে বিল্লাল শেখ নামের এক যুবকের। অন্যান্য দিনের মতো বুধবার রাতেও তিনি দোকান বন্ধ করে কোলাপসিবল গেট ও শাটারে তালা দিয়ে বাড়ি চলে যান। ওইদিন রাতে পাকুড়দিয়াড় বাজারে টহলদারির ডিউটি ছিল সামিউল ইসলাম এবং অমিত মণ্ডল নামে জলঙ্গি থানার দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ারের। গভীর রাতে তাঁরা কিছু ভাঙার শব্দ শুনতে পান। এরপর তাঁরা টর্চ জ্বেলে এগতে থাকেন। তাঁরা ওই দোকানের কাছে যেতেই পিছন থেকে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁদের উপর হামলা চালায়। তাঁদের প্রচণ্ড মারধর করা হয়। তারপর হাত-পা ও মুখ বেঁধে দূরে একটি ঘরে ফেলে রাখে দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার ভোররাতে ওই দুই সিভিক ভলান্টিয়ার কোনওভাবে থানায় খবর পাঠালে জলঙ্গি থানার পুলিস এসে তাঁদের উদ্ধার করে।
পুলিস জানিয়েছে, ওই দুষ্কৃতীরা মুখে মাস্ক পরে ঢুকেছিল। পাশাপাশি সোনার দোকানে লুটপাট চালানোর পর সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে চলে গিয়েছে। পাশের সিসিটিভি ক্যামেরার মুখও ঘুরিয়ে কালো প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দেয়। এরপর শাটার এবং লোহার কোলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে লুটপাট চালায়।
তবে স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী দাবি করেছেন, দোকানে ডাকাতির পর থেকে সোনার দোকানের মালিকের আচরণ তাঁদের কাছে অস্বাভাবিক লেগেছে। দোকান থেকে কী কী জিনিস চুরি গিয়েছে তা সঠিকভাবে তিনি বাজার কমিটির সদস্যদের জানাননি। দোকানের লকারও অক্ষত রয়েছে। ওই দোকান মালিককে একাধিকবার ফোন করা হলেও ব্যস্ত আছি বলে ফোন কেটে দিয়েছেন।
ডোমকলের সিআই তাপস দাস বলেন, ওই ব্যবসায়ী একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।