• গরিব মেধাবীদের ফ্রি কোচিংয়ের উদ্যোগ মহিষাদল রাজ কলেজের প্রাক্তনীদের
    বর্তমান | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • শ্যামল সেন, হলদিয়া: মহিষাদল রাজ কলেজের প্রাক্তনীরা ওই কলেজের পড়ুয়া এবং তরুণ প্রজন্মের জন্য তিনটি উদ্যোগ নিচ্ছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি, রবিবার  পুনর্মিলন উৎসবে নতুন পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করা হবে। পুনর্মিলন উৎসবের আয়োজক মহিষাদল রাজ কলেজ প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী অ্যাসোসিয়েশন। 


    প্রাক্তনীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য অবৈতনিক কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। দ্বিতীয়ত, কলেজের বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের কর্মসংস্থানের দিশা দেখানোর উদ্দেশ্যে এমপ্লয়মেন্ট কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা শুরু হবে। চাকরি ছাড়াও ব্যবসা বা স্টার্টআপ বিজনেসের পরামর্শ দেওয়া হবে। সমাজের বিভিন্ন পরিসরে প্রতিষ্ঠিত রাজ কলেজের প্রাক্তনীরা এই উদ্যোগে নিয়মিত পরামর্শ দেবেন। তৃতীয়ত, কলেজে পাঠরত পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ, মানবিক মূল্যবোধ এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা গড়ে তুলতে ত্রৈমাসিক সেমিনারের ব্যবস্থা করবেন প্রাক্তনীরা। রাজ কলেজের প্রাক্তনী অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক হরিপদ মাইতি, অধ্যাপক সুবোধচন্দ্র মাইতি বলেন, আজকের প্রজন্মকে সঠিক পথ দেখাতে প্রাক্তনীদের বড় ভূমিকা রয়েছে। সকলের সহযোগিতা দরকার। কলেজের পাঠ নেওয়ার সময়ই যাতে পড়ুয়ারা স্টার্ট আপ বিজনেসের ভাবনা শুরু করতে পারে, সেজন্য তাদের উৎসাহিত করব। ১৯৪৬ সালের ১ আগস্ট কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পায় রাজ কলেজ। স্থাপিত হয় তমলুক মহকুমার প্রথম কলেজ। প্রথম অনুমোদন মেলে এলএ বা ল্যাঙ্গুয়েজ আর্টস পড়াবার। ১৯৪৮ সালে অনুমতি মেলে বিএ পড়াবার। এরপর এক দশকের চেষ্টার ফলে ১৯৫৮ সালে আইএসসি এবং ১৯৫৯ সালে বিএসসি পড়ানো শুরু হয়। তারও অনেক পরে ১৯৮১-’৮২ শিক্ষাবর্ষে শুরু হয় বিকম পড়ানো। রাজ কলেজের প্রিন্সিপাল গৌতমকুমার মাইতি বলেন, বর্তমানে মোট ৩৫টি বিষয়ে অনার্স ও আটটি বিষয়ে পাশকোর্স পড়ানো হয়। 


    মহিষাদলের বিধায়ক এবং কলেজের প্রাক্তনী তিলক চক্রবর্তী বলেন, রাজ কলেজ শুরু হয়েছিল ঐতিহাসিক ‘লাল বিল্ডিং’য়ে। ওই বিল্ডিং গত বছর সংস্কার করে নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে। কলেজের প্রাক্তনী শশাঙ্কশেখর মাজি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ এবং মৃদুল দাস বায়েন বলেন, রবিবার সকাল ৯টায় রাজ কলেজ প্রাঙ্গণে প্রাক্তনী পুনর্মিলন উৎসব শুরু হবে। ওইদিন দুপুর ২টো থেকে শুরু হবে অনুষ্ঠান। মূল আকর্ষণ আলোচনা সভা। ‘বাঙালি নারীর মন সেকাল-একাল’ বিষয়ে বলবেন অধ্যাপিকা রুশতি সেন এবং ‘নাগরিক জীবনে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রতিকার’ বিষয়ে বলবেন চিকিৎসক অভিষেক হংস। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গাইবেন শিল্পী সাগ্নিক সেন।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)