• আরামবাগে প্রশাসনকে ধান বিক্রি ৩৮ হাজার কৃষকের
    বর্তমান | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: আরামবাগ মহকুমায় এখনও পর্যন্ত ৩৮ হাজার চাষি ধান বিক্রি করেছেন। মহকুমার চাষিরা সরকারকে প্রায় ১ লক্ষ ১৩ হাজার মেট্রিক টন ধান বিক্রি করেছেন। ধান বিক্রির তিনদিনের মধ্যে চাষিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকাও ঢুকে গিয়েছে। তবে মহকুমায় যাতে আরও বেশি সংখ্যক চাষির কাছ থেকে ধান কেনা যায়, সেই জন্য নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। ফলে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার গতি আরও বাড়াতে বলা হয়েছে। 


    খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলি জেলায় এবার সাড়ে সাত লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তারমধ্যে এখনও পর্যন্ত খাদ্যদপ্তর ধান কিনেছে ৫২ শতাংশ। জেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে প্রায় চার লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনতে পেরেছে খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর। তাই আগামী কিছু দিনে ধান কেনার গতি আরও বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 


    খাদ্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, খরিফ মরশুমের ধান বেশিরভাগ চাষির কাছ থেকেই পাওয়া গিয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে। তারপরেও যদি কোনও চাষির কাছে ধান থাকে, তা যাতে কেনা যায় সেই জন্য তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকেও তা বলছি। তবে স্বচ্ছতা মেনেই ধান কেনা হবে। প্রকৃত চাষিদেরই ধান কেনা হবে। মহকুমার মধ্যে আরামবাগ ব্লকে সবচেয়ে বেশি ধান কেনা হয়েছে। এই ব্লকে বিভিন্ন ক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে ৮৫৬৮ জন চাষি প্রায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন ধান বিক্রি করেছেন। পুরশুড়ায় সাত হাজার চাষির কাছ থেকে প্রায় ২২ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। গোঘাট-১ ব্লকে খাদ্যদপ্তর প্রায় ছ’হাজার চাষির কাছ থেকে ১৭ হাজার মেট্রিক টন ধান কিনেছে। গোঘাট-২ ব্লকে তিনটি ধান ক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে প্রায় সাড়ে ছ’হাজার চাষির কাছ থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। খানাকুল-১ ব্লকে পাঁচ হাজার চাষি ১৪ হাজার মেট্রিক টনের বেশি ধান বিক্রি করেছেন। খানাকুল-২ ব্লকে পাঁচ হাজারের বেশি চাষি প্রায় ১৫ হাজার মেট্রিক টন ধান সিপিসিতে গিয়ে বিক্রি করেছেন। 


    গোঘাটের চাষি তপন মণ্ডল, খানাকুলের প্রকাশ রায় বলেন, ধান অনেকদিন আগেই সিপিসিতে গিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। তার টাকাও পেয়ে গিয়েছি। তবে বাটার নামে বেশি ধান নিয়ে নেওয়ায় কিছুটা ক্ষতির মুখেও পড়তে হচ্ছে চাষিদের। খাদ্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, স্বচ্ছতা মেনেই ধান কেনা হচ্ছে। বোরো ধান উঠলে ফের ধান কেনার গতি বাড়বে বলে আমরা আশা করছি।
  • Link to this news (বর্তমান)