নদীয়ার ১৭টি ফেরিঘাটের উন্নয়নে ও দেখভালে বরাদ্দ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা
বর্তমান | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: নদীয়া জেলাজুড়ে রয়েছে ছোট-বড় একাধিক নদী। স্বভাবতই নদী পারাপারের জন্য রয়েছে একাধিক ফেরিঘাট। কিন্তু অধিকাংশ ফেরিঘাটেই নেই প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো। কোথাও নেই যাত্রী প্রতীক্ষালয়, তো কোথাও অভাব পর্যাপ্ত আলোর। এবার জেলার ১৭টি ফেরিঘাটে যাত্রী সুরক্ষার জন্য এবং সংস্কারে একলপ্তে বিপুল অর্থ বরাদ্দ করল নদীয়া জেলা পরিষদ। সবমিলিয়ে সেই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা।
নদীয়ায় রয়েছে বাংলাদেশ সীমন্ত নির্ধারণকারী ইছামতি, রানাঘাটের চূর্ণী, বাদকুল্লার অঞ্জনা। রয়েছে জলঙ্গি, মাথাভাঙা। এছাড়াও নদীয়ার পশ্চিম সীমান্ত নির্ধারণকারী ভাগীরথী তো রয়েছেই। এই নদীগুলির ফেরিঘাটগুলির যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে উদ্যোগী হল জেলা পরিষদ। বহু ফেরিঘাটেই রক্ষণাবেক্ষণের এবং উন্নত পরিকাঠামোর প্রয়োজন রয়েছে। যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে দাবি উঠেছে। এবার সেই সমস্ত দাবি ধরে ধরে কাজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১৭টি ফেরিঘাটে একত্রে কাজ হবে।
নদীয়া জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি সজলকুমার বিশ্বাস বলেন, মূলত যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই জেলা পরিষদ কাজ করছে। বহু জায়গাতেই উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, কিছু জায়গায় জেটির সংস্কার করা হবে। অনেক জায়গায় উপযুক্ত রাস্তা নেই। সেইসব জায়গায় রাস্তা হবে। এছাড়াও বহু জায়গায় যাত্রীদের জন্য শেড এবং শৌচালয়ের অভাব রয়েছে। আমরা সেই সমস্ত সমস্যাগুলিও চিহ্নিত করেছি। জেলা পরিষদ নিজস্ব তহবিল থেকেই ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করছে।
প্রসঙ্গত, একটি সমীক্ষায় দৃঢ়ভাবে যাত্রী সুরক্ষার বিষয়টি উঠে আসে। যেমন রানাঘাট ১ ব্লকের অধীনস্থ ন’পাড়া-বলাগড় জলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে জেটির কাজ হয়নি। অথচ প্রতিদিন বহু মানুষ এই ঘাট ব্যবহার করেন। ফলে সংস্কারের কাজ হবে সেখানেও। এছাড়াও শান্তিপুরের একাধিক ঘাট রয়েছে যার সঙ্গে পার্শ্বস্থ হুগলি এবং বর্ধমান জেলার যোগাযোগ রয়েছে। বলা ভালো, এই অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষেরই পাশের জেলায় যাওয়ার জন্য মূল ভরসা ফেরি অথবা ভেসেল। ফলে ফেরিঘাটগুলিতে যাত্রী নিরাপত্তা এবং পরিকাঠামোগত অনুন্নয়নের কারণে ক্ষোভ-বিক্ষোভ ক্রমশ বেড়েই চলছিল। আপাতত যাত্রীদের বেশকিছু দাবি-দাওয়া একত্রিত করে উন্নয়নের কাজ করতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা পরিষদ।