জামগাছিতে নির্মীয়মাণ বাংলার বাড়ি ভেঙে দিলেন প্রধান শিক্ষক
বর্তমান | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, চাঁচল: বাংলার বাড়ি প্রকল্পে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পেয়ে ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন উপভোক্তা। সেই নির্মীয়মাণ ঘরের দেওয়াল ভাঙার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার চাঁচল থানার জামগাছিতে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জামগাছি গ্রামের মকলেস আলির নির্মীয়মাণ দেওয়াল ভেঙে ফেলা হয়। এদিন খরবা হরি নারায়ণ এগ্রিল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হোসেন আলির বিরুদ্ধে চাঁচল থানায় অভিযোগ করেছেন উপভোক্তা মকলেস আলির স্ত্রী। মকলেস বলেন, দিনমজুরি করে সংসার চালাই। রাজ্য সরকার ঘর নির্মাণের টাকা দিয়েছে। নিজের জায়গায় বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছি। কাজ কিছুটা হয়েছে। এদিন বাড়িতে ছিলাম না। এরমধ্যেই ওই প্রধান শিক্ষক এসে দেওয়াল ভেঙে দিয়েছেন। এখন কীভাবে ঘরের কাজ করব তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। মকলেসের স্ত্রী মুস্তারি বিবি বলেন, আমি ও মেয়ে বাধা দিতে গেলে ইট ছুড়ে মারেন প্রধান শিক্ষক হোসেন আলি। শুধু তাই নয় একজন শিক্ষক হয়ে গালিগালাজও করেন। তাঁর আক্রমণের ভয়ে আমরা পালিয়ে যাই। নিজের সীমানায় কাজ করা সত্ত্বেও তিনি গায়ের জোর দেখাচ্ছেন। তাঁর শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে চাঁচল থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। স্থানীয় এক বাসিন্দা নাজমিন খাতুন বলেন, একজন গরিব মানুষ সরকারি টাকা পেয়ে ঘর তৈরি করছেন। শিক্ষকরা সমাজের সম্মানীয় ব্যক্তি। তাঁরা সমাজের আদর্শ। তাঁর যদি জায়গা নিয়ে আপত্তি থাকে তবে তা তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসনকে জানাতে পারতেন। কিন্তু এভাবে একজন গরিব মানুষের নির্মীয়মাণ বাড়ির দেওয়াল ভেঙে দিয়ে অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা হতচকিত। খরবা হরি নারায়ণ এগ্রিল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হোসেন আলি বলেন, আমার জায়গায় ওই নির্মাণ কাজ হচ্ছে তাই প্রতিবাদ করেছি। ওরা জমি মেপে নিজের জায়গায় ঘর তৈরি করুক। ইট ছুড়ে মারার অভিযোগ ভিত্তিহীন। চাঁচল থানার এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই নির্মীয়মাণ বাড়ির দেওয়াল ভাঙার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।-নিজস্ব চিত্র