আবার মাপজোখ, বাড়তি জায়গা ছাড়তে নারাজ ব্যবসায়ীরা, নতুন করে জটের শঙ্কা
বর্তমান | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: রেলের তরফে খুঁটি পুঁতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কতটা জায়গা ছাড়তে হবে। সেইমতো জায়গা ছাড়তে বাজার সরিয়ে নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এখন আবার আরও তিন মিটার জায়গা ছাড়তে হবে বলে রেলের ইঞ্জিনিয়াররা জানাতেই প্রতিবাদে সরব হলেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের সাফ কথা, ডিআরএম ও জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়ের উপস্থিতিতে ঠিক হয়, রেলের কাজের জন্য কতটা জায়গা ছাড়তে হবে ব্যবসায়ীদের। সেইমতো রেল খুঁটি পুঁতে চিহ্নিত করে দেয়। এখন আরও জায়গা ছাড়তে বলা হচ্ছে। এটা সম্ভব নয়। আর কোনও জায়গা ছাড়তে পারবেন না তাঁরা। এভাবে চলতে থাকলে প্রায় সাড়ে তিনশো ব্যবসায়ী কোথায় ব্যবসা করবেন? জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন বাজারের ব্যবসায়ীরা বৃহস্পতিবার রেলের আধিকারিকদের সামনেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন।
এদিন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের ইঞ্জিনিয়াররা জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে আসেন। তাঁরা নকশা হাতে স্টেশনের বাইরে মাপজোখ করেন। তারপরই ব্যবসায়ীদের ডেকে জানিয়ে দেন, বাজার ভেঙে এখন তাঁরা যেখানে রেলেরই জমিতে অস্থায়ীভাবে দোকান তুলছেন, সেখান থেকে আরও তিন মিটার করে জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। এটা শোনার পরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা কার্যত হুমকির সুরে জানিয়ে দেন, প্রথমে তাঁদের যতটা জায়গা ছাড়তে বলা হয়েছিল, সেটা ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা। আর কোনও জায়গা ছাড়তে পারবেন না। প্রয়োজনে আন্দোলন হবে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে ‘অমৃত ভারত’ প্রকল্পের কাজে জট তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এদিন পরিদর্শনে আসা রেলের ইঞ্জিনিয়াররা অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
স্টেশন মাস্টার নিতাই দাস বলেন, এদিন রেলের ইঞ্জিনিয়ার এসেছিলেন। অমৃত ভারত প্রকল্পের যে কাজ চলছে, তা খতিয়ে দেখেন তিনি। কিন্তু তিনি কী দেখছেন, তা নিয়ে আমার কিছুই জানা নেই।
জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন বাজার কমিটির সম্পাদক যোগীন্দর দাস বলেন, রেল প্রথমে খুঁটি পুঁতে যে সীমানা চিহ্নিত করে দিয়েছিল, সেই পর্যন্ত জায়গা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাজারের প্রায় সাড়ে তিনশো দোকান ভেঙে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর আবার তিন মিটার জায়গা ছাড়তে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ফের ৭০-৮০টি দোকান ভাঙা পড়বে। এটা কোনওভাবে সম্ভব নয়। সেটাই এদিন রেলের ইঞ্জিনিয়ারকে বলা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।