ওয়ার্ডপিছু ২৫ জন দুঃস্থ, মেধাবী পড়ুয়াকে মাসে হাজার টাকা বৃত্তি
বর্তমান | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: শহরের দুঃস্থ ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য এবার মানবিক উদ্যোগ নিল বিধাননগর পুরসভা। ওয়ার্ড পিছু ২৫ জন করে দুঃস্থ ও মেধাবী পড়ুয়াকে মাসে এক হাজার টাকা করে উৎসাহ বৃত্তি দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার পুরসভার ২০২৫-’২৬ আর্থিক বছরের বাজেট প্রস্তাবে এই উৎসাহ বৃত্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে পুরসভার ৪০টি ওয়ার্ড থেকে ১০০০ জন ছাত্রছাত্রী উপকৃত হবেন। সেই সঙ্গে পুরসভার কর্মীদের জন্যও বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে পুরসভা। চুক্তি ভিত্তিক ও ক্যাজুয়াল কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি, অবসরের পর গ্র্যাচুইটির অঙ্কও বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উদ্বৃত্ত বাজেটে শহরের উন্নয়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষার ফলাফলের নিরিখে দুঃস্থ ও মেধাবীদের চিহ্নিত করা হবে। স্থানীয় কাউন্সিলারই তাঁদের মনোনীত করবেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত নিয়মাবলি কাউন্সিলারদের জানিয়ে দেওয়া হবে। বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী অসংখ্য উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নিয়েছেন। তাতে পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই উপকৃত হচ্ছেন। আমরা বিধাননগর পুরসভার পক্ষ থেকে দুঃস্থ ও মেধাবীদের জন্য উৎসাহ বৃত্তির পরিকল্পনা নিয়েছি। মাসে ১ হাজার টাকা বৃত্তি পেলে তারা অনেকটাই উপকৃত হবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার বাজেট প্রস্তাবে আয় ধরা হয়েছে ৪৫১ কোটি ৭৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। ব্যয় করা হবে ৪৫১ কোটি ২২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। অর্থাৎ, উদ্বৃত্ত ৫৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। পুরসভার সমস্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মী ও ক্যাজুয়াল কর্মীদের মাসিক বেতন ১৬০০ টাকা করে বৃদ্ধির প্রস্তাব হয়েছে। এই বৃদ্ধি আগামী ১ এপ্রিল, ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে। অবসরের সময় বা ক্যাজুয়াল কর্মীর মৃত্যু হলে গ্র্যাচুইটি বাবদ এককালীন ৩ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হতো। তা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করার প্রস্তাব পেশ হয়েছে। পুরসভার কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা খাতে বার্ষিক ২ লক্ষ ৫০ হাজার ঊর্ব্ধসীমা বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
রাস্তা ও ফুটপাতের জন্য ৭৬ কোটি, পানীয় জল বাবদ ৮৩ কোটি, আলো ও অন্যান্য কাজে ১৮ কোটি ৫০ লক্ষ, জঞ্জাল অপসারণ খাতে ৪২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার বাজেট প্রস্তাব রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে রাজস্ব আদায়ের উপরেও এবার বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।