• রাজকুমারী গার্লস স্কুলের বাইবেল সংরক্ষণ করার দাবি সায়ন্তিকার
    বর্তমান | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: সুপ্রাচীন বাইবেল। ইংল্যান্ড থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন বরানগরের সেবাব্রতী শশীপদ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই উপহার তিনি নিজের প্রতিষ্ঠিত রাজকুমারী মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের লাইব্রেরিতে রেখেছিলেন। বইটিকে জড়িয়ে রয়েছে নানা স্মৃতি। কিন্তু সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ওই বই ধীরে ধীরে নষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি, ওই স্কুলে গিয়ে অমূল্য ওই বাইবেল দেখেন বরানগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি বিধানসভায় ওই বইকে রাজ্যের হেরিটেজ হিসেবে সংরক্ষণের দাবি জানান। বরানগরের ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে তাঁর উদ্যোগে খুশি শহরবাসী।


    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরাধীন ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের পথিকৃত ছিলেন শশীপদ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সমাজ সংস্কারমূলক কাজের পাশাপাশি শ্রমিক স্বার্থে নিরলস প্রয়াস আজও ইতিহাসের পাতায় অমলিন। তিনি ১৮৬৫ সালের ১৯ মার্চ বরানগরে রাজকুমারী মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক


    মিস মেরি কার্পেন্টার তাঁর সমাজ সংস্কারমূলক কাজ ও শ্রমিক স্বার্থে লড়াই দেখে ইংল্যান্ডে সস্ত্রীক আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে শশীপদবাবু স্ত্রী রাজকুমারীদেবীকে নিয়ে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন। সেখানেই মিস মেরি কার্পেন্টার তাঁকে একটি বাইবেল উপহার দেন। সেটি তিনি স্কুলের লাইব্রেরিতে রেখেছিলেন। ওই বই এখন স্কুলের অমূল্য সম্পত্তি। ইতিহাসবিদদের দাবি, এই বিশেষ সংস্করণের বাইবেলের মাত্র দু’টি কপি বর্তমানে এশিয়ায় রয়েছে। তার মধ্যে একটি রয়েছে গোয়ার চার্চে, অপরটি এই স্কুলে। স্কুল কর্তৃপক্ষ সাধ্যমতো এই বাইবেলকে পরম যত্নে গুছিয়ে রেখেছে। কিন্তু কয়েকশো বছরের প্রাচীন এই বইটিকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে রক্ষণাবেক্ষণের পরিকাঠামো স্কুল কর্তৃপক্ষের নেই। তাই ধীরে ধীরে তা নষ্ট হচ্ছে। এদিন সমস্ত তথ্য জানিয়ে বইটির বিষয়ে বিধানসভার স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিধায়ক সায়ন্তিকাদেবী। তিনি বলেন, এই বাইবেলের প্রাচীনত্ব ও গুরুত্ব অপরিসীম। বিধানসভায় আমি বিষয়টি তুলে ধরেছি। অবিলম্বে ভাবী প্রজন্মের স্বার্থে রাজ্যের হেরিটেজ হিসেবে ওই বই সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। তা না হলে বইটি ধীরে ধীরে নষ্ট হবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)