চাঁদকুমার বড়াল ■ কোচবিহার
দু'বছর আগে শিলান্যাস হওয়া স্পোর্টস কমপ্লেক্স প্রকল্পের টেন্ডার ডাকল রেল। দীর্ঘ টালবাহানার পরে নিউ কোচবিহারে উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় 'ন্যাশনাল সেন্টার অফ এক্সেলেন্স' কাজের জন্য ২৩ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকার টেন্ডার ডাকা হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের সিনিয়র কমার্শিয়াল ম্যানেজার অভয় গণপথত সনপ বলেন, 'স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরির কাজ কয়েক ধাপে করা হবে। তার জন্য প্রথম পর্যায়ের কাজ চলতি আর্থিক বর্ষেই শুরু হবে। সাই-এর গাইডলাইন মেনেই কাজটি করা হচ্ছে।'
নিউ কোচবিহার স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রেলের প্রায় ২৫ একর জমিতে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্পোর্টস কমপ্লেক্সের শিলান্যাস হয় ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ। এই প্রকল্প যৌথ ভাবে বাস্তবায়ন করবে রেল ও সাই। রেল সূত্রে খবর, যে ২৪ কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছে, সেই টাকায় প্রকল্পের জমির ভিতর বিদ্যুতায়নের কাজ হবে। একইসঙ্গে আলোও লাগানো হবে। পাশাপাশি ফুলের উদ্যান তৈরি করা হবে। পানীয় জল এবং অন্য কাজের জন্য ব্যবহার করতে দু'টো বড় জলপ্রকল্প গড়ে তোলা হবে। এ ছাড়া দেড় কিলোমিটার পাকা রাস্তা তৈরি করা হবে। প্রকল্পের ভিতর হাঁটার জন্য তৈরি হবে ফুটপাথও।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কোচবিহারের প্রাক্তন সংসদ নিশীথ প্রামাণিকের উদ্যোগে এই প্রকল্পের সূচনা হয়। অ্যাথেলিটদের জন্য সিন্থেটিক ট্র্যাক, ফুটবল মাঠ, হকির অ্যাস্ট্রোটার্ফ থাকবে। এর পাশাপাশি দেশের নামজাদা খেলোয়াড়রা এখানে এসে প্রশিক্ষণ দেবেন বলেও জানানো হয়। তবে এতদিন সেই সব কাজই আটকে ছিল। শুরুতে ডিপিআর–এর গলদ–সহ বেশ কিছু কারণে কাজটি আটকে ছিল। এতদিন সেখানে সীমানা প্রাচীন ছাড়া আর কিছুই হয়নি।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, 'না আঁচালে বিশ্বাস নেই। টেন্ডার হওয়া মানেই যে সবটা হয়ে যাওয়া তা তো নয়। আগে হোক। হলে ভালো।' প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক বলেন, 'ধাপে ধাপে পরিকল্পনা অনুযায়ী সব কাজ হবে। তবে প্রকল্পের জমিতে রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরের খুঁটি রয়েছে। বারবার সেটা সরানোর জন্য বলা হলেও তা সরানো হয়নি।'
তৃণমূল কংগ্রেস এই প্রকল্প নিয়ে বিজেপিকে বারবার কাঠগড়ায় তুলেছে। অবশেষে প্রকল্পটির প্রথম ধাপের কাজ শুরুর জন্য টেন্ডার হওয়ায় খুশি সংশ্লিষ্ট সকলেই। উত্তরবঙ্গ–সহ গোটা উত্তর–পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যের জন্যই এই প্রকল্প করা হচ্ছে বলে রেল জানিয়েছে। বেশ কয়েকজন এখান থেকে সাইয়ের মূল কেন্দ্রে সুযোগও পেয়েছেন।