• নদীর ধার থেকে সরবে ১৫০ বাড়ি, জোড়াপানি ও ফুলেশ্বরী বাঁচাতে উদ্যোগ শিলিগুড়িতে
    এই সময় | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • রাহুল মজুমদার ■ শিলিগুড়ি

    নদী দূষণ রোধে এবার আরও কড়া হচ্ছে শিলিগুড়ি পুরনিগম। জোড়াপানি ও ফুলেশ্বরীকে বাঁচাতে নদী সংলগ্ন ১৫০টি বাড়ি সরিয়ে দেবে শিলিগুড়ি পুরনিগম। পাশাপাশি ওই এলাকায় বাড়ির শৌচালয়গুলির মধ্যে যেগুলি সরাসরি নদীর সঙ্গে যুক্ত, সেগুলি সরিয়ে নতুন শৌচালয় এবং সোপকিট তৈরি করবে স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি(সুডা)।

    বৃহস্পতিবার সুডার একটি প্রতিনিধিদল জোড়াপানি ও ফুলেশ্বরী নদী সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করে। সুডার পরিদর্শনের পর সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে মেয়র গৌতম দেবের একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আগামী মাসে শিলিগুড়ি পুরনিগম, সুডা এবং সেচ দপ্তর যৌথ ভাবে জোড়াপানি ও ফুলেশ্বরী নদী সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করবে।

    পাশাপাশি এই দুই নদী সংস্কারের যে কাজ শুরু করেছে সেচ দপ্তর, তা মার্চের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে গৌতম বলেন, ‘দীর্ঘ ৩৪ বছরে জোড়াপানি, ফুলেশ্বরী সংস্কার হয়নি। সেচ দপ্তরকে বলে আমরা এই কাজটা করিয়েছি। ড্রেজিং করে আবর্জনা তোলা হচ্ছে। ধীরে ধীরে আমরা নদীগুলিকে পুরনো রূপ ফিরিয়ে দিতে চাই।’

    মাস তিনেক আগেই সেচ দপ্তর এবং শিলিগুড়ি পুরনিগম যৌথ ভাবে জোড়াপানি এবং ফুলেশ্বরী নদী সংস্কারের কাজ শুরু করে। সেচ দপ্তর নদীগুলি থেকে আবর্জনা তুলে একধারে রাখছে। পুরনিগম সেই আবর্জনা নিয়ে গিয়ে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলছে। এর পাশাপাশি সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে দুই নদীর উপরে থাকা সমস্ত সেতুতে নেটিং করা হচ্ছে।

    সেতু থেকে যাতে কেউ নদীতে আবর্জনা ফেলতে না পারে তার জন্য এই উদ্যোগ। নদী দূষণের কারণ খুঁজতে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ফুলেশ্বরী এবং জোড়াপানি নদী সংলগ্ন অন্তত ১০০০ বাড়ির শৌচালয় সরাসরি নদীর সঙ্গে সংযোগ করা। শৌচকর্ম করার পরে সমস্ত মল–মূত্র সোজা গিয়ে পড়ছে নদীতে। এর জেরে আরও দূষণ বাড়ছে। এ ছাড়া নদীর একেবারে কাছের বাড়িগুলো থেকে আবর্জনা ফেলাতেও দূষণ বাড়ছে।

    সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলির কাউন্সিলারদের সঙ্গে কথা বলে এরকম প্রায় ১৫০টি বাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে। এই বাড়িগুলিকে নদীর ধার থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। যে বাড়িগুলির শৌচালায় সরাসরি নদীর সঙ্গে সংযোগ করা সেগুলিতে একটি করে পাকা শৌচালয় তৈরি করে দেওয়া হবে এবং সোপকিট তৈরি করা হবে। জায়গা কম থাকায় দু’টি–তিনটি বাড়ি মিলিয়ে একটি করে ক্লাসটার সোপকিট তৈরি হবে। সবটাই শিলিগুড়ি পুরনিগম বিনামূল্যে করে দেবে। ইতিমধ্যে এই দুই নদী সংলগ্ন সমস্ত বাজার কমিটিগুলোকে ডেকে বাজারের নোংরা আবর্জনা, থার্মোকল, প্লাস্টিক নদীতে ফেলতে কঠোর ভাবে নিষেধ করা হয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)