বুধবার রাতে মধ্য হাওড়ার নেতাজি সুভাষ রোডের ঘোষপাড়া পেট্রোল পাম্পের সামনে গুলিবিদ্ধ হন হুগলির চণ্ডীতলা থানার আইসি জয়ন্ত পাল। তাঁর সার্ভিস রিভলবার থেকেই গুলি চলে। এই ঘটনায় এক ‘রহস্যময়ী’ তরুণীর ভূমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছিল। এ বার সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুললেন ওই তরুণী মা।
হাওড়ার সাঁকরাইলের পোদরা এলাকায় বাড়ি ওই তরুণীর। তাঁর মা দাবি করেছেন, ওই দিন মেয়ে এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই পুলিশ আধিকারিক তাঁর মেয়ে ও বন্ধুদের গাড়ির সামনে এসে পড়েন। মানবিকতার খাতিরেই তাঁর মেয়ে ওই পুলিশ আধিকারিককে সাহায্য করেছিলেন বলে দাবি। ওই প্রবীণা আরও দাবি করেছেন, তাঁর মেয়ের সঙ্গে শুটআউটের ঘটনার কোনও যোগ নেই। ওই তরুণী পেশায় বিউটিশিয়ান। এর আগে ওই পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগও ছিল না। যদিও শুক্রবার বাড়িতে ছিলেন না তাঁর মেয়ে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘোষপাড়া পেট্রোল পাম্পের সামনে একটি চারচাকা গাড়ি থেকে নামেন জয়ন্ত। পিছন থেকে অন্য একটি সাদা গাড়িও সেখানে এসে দাঁড়ায়। সেই গাড়ি থেকে আরও কয়েকজন নামে। সেখানে ছিলেন এক মহিলাও। ব্যাঁটরা এবং শিবপুর থানা এলাকার মাঝামাঝি একটি জায়গায় নিজেদের মধ্যেই বচসা শুরু হয়। এরপরেই গুলির আওয়াজ আওয়াজ শোনা যায়। আপাতত ওই পুলিশ আধিকারিক চিকিৎসাধীন। তাঁর উপরে গুলি চালানোর কারণ স্পষ্ট নয়। এ দিকে যে হাসপাতালে ওই পুলিশকর্মীকে ভর্তি করা হয়েছিল তাদের দাবি, যাঁরা ভর্তি করতে এসেছিলেন তাঁরা সহকর্মী পরিচয়ে ভর্তি করান।
এ দিকে ঘটনার পরেই চণ্ডীতলা থানার আইসি-র দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে জয়ন্ত পালকে। সেই জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার সার্কল ইন্সপেক্টর (সিআই) সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায়কে।