পড়ুয়াদের মিড ডে মিলে প্রোটিনজাত খাবার তুলে দিতে অভিনব উদ্যোগ বাঁকুড়া শহরের কেন্দুয়াডিহি নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। স্কুলের মধ্যেই বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে শুরু হলো মাশরুম চাষ। যা দেওয়া হচ্ছে মিড ডে মিলে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজ্য সরকারের মিড ডে মিলের বরাদ্দ অর্থে প্রতিদিন পড়ুয়াদের প্রোটিন জাতীয় খাবার দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই এই পরিকল্পনা। মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। এই ধরনের খাবার শিশুর বিকাশে অনেকটাই সাহায্য করবে।
ওই স্কুলের পড়ুয়া আয়ুষ, অঙ্কিতাদের কথায়, এখন স্কুলেই মাশরুম চাষ হচ্ছে। প্রতিদিন মিড ডে মিলের খাবারে তা দেওয়া হয়। এই মাশরুম খেতে খুব সুস্বাদু।
কেন্দুয়াডিহি নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দন দত্ত জানান, স্কুলে কিচেন গার্ডেন তৈরির জন্য বরাদ্দ টাকা থেকেই এই মাশরুম চাষ করা হয়েছে। আগামী দিনে আরও একটি রুমে এই মাশরুম চাষ হবে। স্কুলে চাষ হওয়া মাশরুম থেকেই শিশুদের মিড ডে মিলে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে।
এদিকে, মাশরুম চাষে দিশা দেখাচ্ছে মালদা। ইতিমধ্যে জেলার বেশ কয়েকজন যুবক মাশরুম চাষ করে স্বনির্ভর হয়েছেন। গত ২১ জানুয়ারি মালদায় সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে এসে মালদার মাশরুম চাষের প্রশংসা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মালদা জেলার ইংরেজবাজার, পুরাতন মালদা, গাজোল ব্লকে বেশ কয়েকজন বেকার যুবকও মাশরুম চাষ করে স্বনির্ভর হয়েছেন। বাড়ির ছাদ অথবা ফাঁকা উঠানেও ছাদযুক্ত ঘরেও মাশরুম উৎপাদন করা যায়। বিদেশের বাজারে এর চাহিদা রয়েছে।