শুক্রবার ভোর থেকে একাধিক পথ দুর্ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরে। এ দিন ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর থানার গামারিয়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় একটি বরযাত্রী বোঝাই বাস। এতে ছিলেন ৫৪ জন বরযাত্রী। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে তাঁরা শালবনীর চাঁদাবিলা থেকে কেশপুর ব্লকের কলাগ্রামে ফিরছিলেন। হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আনন্দপুর-কেশপুর রাজ্য সড়কের পাশে পাল্টি খায় বাসটি। বাসে থাকা সকলেই কমবেশি আহত হয়েছেন। ১০-১২ জন অপেক্ষাকৃত বেশি আহতকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদের আনন্দপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আনন্দপুর থানার পুলিশ জানায়, বাসটি ক্রেনের সাহায্যে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্যদিকে, শুক্রবার দুপুর নাগাদ আনন্দপুর থানারই অধীনে পাচরা এলাকায় রাজ্য সড়কের উপরে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক যুবকের। কেশপুর-আনন্দপুর রাজ্য সড়কের উপর পাচরা এলাকায় একটি ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক বাইক আরোহীর। তাঁর নাম শেখ সাহিল (২৫)। তিনি আনন্দপুর এলাকার বাসিন্দা।
ঘটনার পরেই উত্তেজিত জনতা ট্রাকটিকে আটক করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মৃতদেহ আটকে অবরোধও করেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আনন্দপুর থানার পুলিশ। পুলিশি তৎপরতায় কিছুক্ষণ পরে অবরোধ উঠে যায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চালক-সহ ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পাশাপাশি শুক্রবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের মণ্ডলবাড় এলাকায় এক যাত্রাদলের বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় একটি ট্রাকের। ডেবরার ডিঙ্গল এলাকায় যাত্রানুষ্ঠান শেষ করে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় যাওয়ার সময়ে পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে পুলিশ। দুর্ঘটনার ফলে চালক-সহ বাসে থাকা প্রায় ২৪ জন শিল্পীই অল্পবিস্তর আহত হন। পিংলা থানার পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে এবং গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বাসের চালক-সহ ৩-৪ জনের আঘাত অল্প গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। হাত ভেঙেছে এক শিল্পীর। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।