• বীরভূমের মহম্মদবাজারে একই পরিবারের তিন সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যু! তদন্তে পুলিস
    বর্তমান | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, সিউড়ি: ট্যাংরায় দে বাড়ির কাণ্ড নিয়ে যখন শহর তোলপাড়, ঠিক তখনই বীরভূমে তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মহম্মদবাজারের ম্যানেজার পাড়ায়। জানা গিয়েছে, ঘরের ভিতরেই একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃতদেহ পড়ে ছিল। আর সেই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে মহম্মদবাজারের ম্যানেজার পাড়ায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বীরভূমের বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিসও। যদিও মৃতদেহগুলি ঘর থেকে বাইরে আনতে পুলিসকে বাধা দেয় এলাকাবাসীরা। বিজেপি নেতা ধ্রুব সাহার দাবি, দেউচা-পাচামি প্রকল্পে মৃতদের জমি ছিল। সেই জমি সংক্রান্ত কোনও বিবাদের জেরেই এই খুন। এটি একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। যদিও বিজেপির বীরভূম জেলা কমিটির সদস্য শুভ্রাংশু চৌধুরীর দাবি অবৈধ সম্পর্কের জেরেই এই খুন। কিন্তু ঘটনাস্থলে বিজেপির তরফে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে তাতে যোগ দেয় এলাকাবাসী। ঘটনাস্থলের কাছে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তাঁরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পৌঁছয় মহম্মদবাজার থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। গোটা বাড়িটিকে ঘিরে রাখে তাঁরা। পরে এলাকাবাসীদের বুঝিয়ে তিনটি মৃতদেহই বাড়ির ভিতর থেকে বের করে আনে পুলিস। ঘটনাস্থলে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিস সুপার। এদিকে বিজেপির দাবি মানতে নারাজ তৃণমূল। বিষয়টির সঙ্গে দেউচা-পাচামির কোনও যোগ নেই বলে জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির। অবৈধ সম্পর্কের জেরেই এই খুন। বিজেপি মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা রিপন শেখ। অন্যদিকে মৃতার বোনের দাবি, কাকাদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল। সেই কারণেই এই খুন। পুলিস পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিস জানিয়েছে, মৃতরা হলেন লক্ষ্মী মার্ডি(২৫), রূপালি মার্ডি (১০) ও অভিজিৎ মার্ডি (৫)। তবে কী কারণে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।


     
  • Link to this news (বর্তমান)