• বন্ধ বিরিয়ানির দোকানের ভিতর থেকে কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ির কদমতলায়
    বর্তমান | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: বন্ধ বিরিয়ানির দোকানের ভিতর থেকে কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। মৃতের নাম সোনি পাসোয়ান (১৮)। তাঁর বাড়ি জলপাইগুড়ি শহরের রায়কতপাড়ায়। জলপাইগুড়ি শহরের কদমতলা এলাকায় একটি বিরিয়ানির দোকানে কাজ করতেন সোনি। পরিবারের দাবি, তাঁকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃতের মায়ের দাবি, গতকাল, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ থানা থেকে খবর আসে সোনি আত্মহত্যা করেছে। পুলিস গিয়ে, তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে। গোটা বিষয়টি সোনির পরিবারের লোকজন পুলিসের থেকেই জানতে পারেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, দোকান মালিক কোনও খবর দেননি তাঁদের। সোনিকে প্রায়ই মারধর করতেন ওই দোকান মালিক, এমনই অভিযোগ করেছেন তাঁরা। এমনকী ঠিকমতো বেতনও দিতেন না। দোকান ছেড়ে সোনিকে বাড়িতেও আসতে দিতেন না, এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। গতকাল, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি আসে সোনি। তারপরেই তাঁদের বাড়িতে কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসেন ওই বিরিয়ানির দোকানের মালিক। মৃতের এক আত্মীয়ের দাবি, প্রায়ই সোনিকে মারধর করত সে। গত কালও মারতে মারতে সোনিকে বাড়ি থেকে নিয়ে যান ওই দোকান মালিক। মৃতের পরিবারের সদস্যদের প্রশ্ন, মাঝরাতে বন্ধ দোকানের ভিতর যদি সোনি আত্মহত্যাই করে, তাহলে দোকান মালিক তা জানলেন কীভাবে? তিনি কী মাঝরাত পর্যন্ত দোকানে ছিলেন? তিনি যদি ওই সময় দোকানে থাকেন, তাহলে কী করে তাঁর সামনে আত্মহত্যা করল সোনি? যদিও ওই বিরিয়ানির দোকানের মালিক জানিয়েছেন তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। ওই এলাকার এক নৈশপ্রহরী থানায় খবর দিলে, পুলিসের কাছ থেকেই সবটা জেনেছেন তিনি। আর সোনির পরিবারের কারোর ফোন নম্বর তাঁর কাছে নেই। জেরায় ওই নৈশপ্রহরী জানিয়েছেন, বিরিয়ানির দোকানের শাটার নামানো ছিল, কিন্তু ভিতরে আলো জ্বলছিল বলে উঁকি মেরে দেখতে যাই। তখনই দেখি সোনির ঝুলন্ত দেহ। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিসে খবর দিই। ওই দোকানের সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে পুলিস। তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, সোনি আত্মহত্যা করছেন। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই বিরিয়ানির দোকানের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস।


     
  • Link to this news (বর্তমান)