প্রদ্যুত দাস: নজর এড়িয়ে জেলা জুড়ে রমরমিয়ে চলছিল অসাধু ব্যবসায়ীদের চোলাই মদের (Brewed Wine) কারবার এর পাশাপাশি চলছিল বেআইনি গাঁজার চাষ। জেলা জুড়েই চলছে জলপাইগুড়ি পুলিসের অভিযান এবং তাতে তাঁদের সাফল্যও এসেছে বিস্তর।
বিশাল পুলিস বাহিনী নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের মেচপাড়া সহ মালবাজারের ক্রান্তি এলাকায় অবৈধ মদের ঠেকে অভিযান চালান বিভিন্ন থানার পুলিস। ধুপগুড়ি থানার আইসি এবং এসডিপির নেতৃত্বে গাঁজা গাছ (Weed tree) নষ্ট করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি জেলা জুরে পুলিসি অভিযানে গুড়িয়ে দেওয়া হয় চোলাই মদের ঠেক। উদ্ধার হওয়া চোলাই মদ তৈরির বেশ কিছু কাঁচা মাল এবং উপকরণ নষ্ট করা হয়েছে। তাঁরা নষ্ট করেন ৩০০০ লিটারেরও বেশি ফারমেন্টেড ওয়াশ, ২৫০ লিটারের বেশি (আইডি) মদ তৈরির উপকরণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়। এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ফেরার বিভিন্ন থানার আইসি সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিক, বানারহাট থানার অন্তর্গত বেশ কিছু এলাকায় বিশাল পুলিস বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যান গ্রামীন পুলিস সুপার সুমির আহমেদ। ধুপগুড়ি এসডিপিও গ্যালসেন লেপচা সহ বিভিন্ন পুলিস কর্মীরা। ধুপগুড়ি এলাকায় গাঁজা গাছ নষ্ট করে পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি জেলার বানারহাট সহ বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছান তাঁরা। অভিযোগ, চোলাই মদ বাড়িতে এবং বিভিন্ন জায়গায় তৈরি করে বাইরে গিয়ে বিক্রি করেন বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
চোলাই মদের আকর্ষণ বাড়াতে ইথাইল অ্যালকোহলের সঙ্গে পিরিতিন জাতীয় খার, মিথানল, ইউরিয়া এমনকি কীটনাশকের মতো বিষও মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে আজকাল। তাতেই চোলাই মদ খাওয়ার পর অল্প সময়ে নেশায় আসক্ত হচ্ছেন মদ্যপ্রেমীরা। এদিন পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে; জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের মেচপাড়ার বিভিন্ন থানার পুলিস, এলাকায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায়। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিস সুপার উমেশ খান্ড বাহালে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে প্রতিটি কোণায় কোণায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে প্রচুর চোলাই মদ। পুলিস সুপার জানিয়েছেন, এই ধরনের অভিযান লাগাতার চলবে।