অর্ণব আইচ: ট্যাংরা কাণ্ডের পরতে পরতে রহস্য। তবে গোটা ঘটনার নেপথ্যে ঋণ বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান তদন্তকারীদের। কিন্তু এত বড় ব্যবসার মালিক কীভাবে দেনায় জর্জরিত হলেন? জানা যাচ্ছে, ব্যবসায় লোকসান বাড়তে থাকলেও সর্তক হননি দে পরিবারের দুই ছেলে। বরং দুহাতে খরচ করেছেন। গতবছর দুটি বিলাসবহুল গাড়ি উপহার দিয়েছেন স্ত্রীদের। ঘুরে দাঁড়ানোর পরিস্থিতি নেই বুঝেও বারবার বিদেশ ভ্রমণে গিয়েছেন ঋণের টাকায়!
ট্যাংরা কাণ্ডের (Tangra Incident) শুরুতেই জানা গিয়েছিল, দে পরিবার অত্যন্ত ধনী ছিলেন। একাধিক ব্য়বসা, প্রাসাদপম বাড়ি, কী ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যুর নেপথ্যে কারণ হিসেবে ঋণের বোঝা উঠে আসতেই একাধিক প্রশ্ন দানা বাঁধে তদন্তকারীদের মনে। তাতেই জানা গিয়েছে, প্রসূন ও প্রণয়ের বাবার আমলে ফুলে ফেঁপে উঠেছিল চামড়ার ব্যবসা। পরবর্তীতে তা দুইভাইয়ের হাতে আসে। তারপর থেকেই দেখা দেয় মন্দা। ব্যবসায় লাভ কমতে থাকে। দিনে দিনে বাড়তে থাকে লোকসানের পরিমাণ। তা সত্ত্বেও জীবনযাত্রায় কোনও পরিবর্তন করেননি প্রসূন ও প্রণয়। একটা সময়ের পর ঋণের টাকায় শখ পূরণ করেছেন। গতবছর দুইভাই স্ত্রীদের জন্য দুটি ফরচুনার গাড়ি কিনেছেন। বহুবার বিদেশেও গেছেন। তার জেরেই একটা সময়ে দেনায় আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়েন দুইভাই।
এদিকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পাওনাদারের চাপ। সামনেই মার্চ মাস ফলে ব্যাঙ্কের চাপও ছিল। সব মিলিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। যার পরিণতি হয়েছে ভয়ংকর। উল্লেখ্য, গত বুধবার ভোরে ট্যাংরা শীল লেনে দে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় পরিবারের তিন মহিলা সদস্যের দেহ। এরপরই জানা যায় পরিবারের ৬ জনই আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। এরপর একে একে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।