• স্থায়ী উপাচার্যের দাবিতে রবীন্দ্রভারতীতে তৃণমূলপন্থী ছাত্র ও কর্মীদের বিক্ষোভ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তাল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বি টি রোড ক্যাম্পাস। যার জেরে এদিন ঢুকতেই পারলেন না অন্তর্বর্তী রেজিস্ট্রার আশিস সামন্ত। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে তাঁর পদ ছাড়তে হবে। অপসারিত করতে হবে অস্থায়ী রেজিস্ট্রারকেও।

    এদিন সকাল থেকেই মূলত এই দুই দাবি সামনে রেখে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বি টি রোড ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভে সামিল হন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং তৃণমূল পরিচালিত অশিক্ষক কর্মচারী সংগঠনের সদসদ্যরা।

    তাঁদের বক্তব্য, বর্তমানে যিনি অস্থায়ীভাবে উপাচার্যের 'গদি আঁকড়ে' বসে রয়েছেন, তিনি কোনও নিয়ম নীতি মানছেন না। তাঁর এত দিন ওই পদে বসে থাকার কথাই নয়। তাই তাঁকে সরিয়ে, নিময় মেনে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে। একইসঙ্গে, অস্থায়ীয় উপাচার্যের 'আস্থাভাজন' অন্তর্বর্তী রেজিস্ট্রারকে নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে রবীন্দ্রভারতীর তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা বিশাল দাসকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, 'উপাচার্য হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন তা পূরণ করতে পারেননি। তিনি প্রাক্তন বিচারপতি। অন্তর্বর্তীকালীন মেয়াদে ছ'মাসের বেশি তাঁর পদে থাকার কথা নয়। কিন্তু ২০২৩ সালে রাজ্যপাল তাঁকে উপাচার্য পদে নিযুক্ত করার পর থেকেই তিনি পদ আঁকড়ে রয়েছেন।'

    সংবাদমাধ্যমের কাছে ওই ছাত্রনেতা আরও অভিযোগ করে দাবি করেছেন, 'রাজ্য শিক্ষা দফতরের নিষেধ অগ্রাহ্য করে অস্থায়ী উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এগজিকিউটিভ কাউন্সিল -এর বৈঠক ডাকছেন। এটা তিনি করতে পারেন না। তাঁর এই তুঘলকি আচরণের প্রতিবাদেই আমাদের এই বিক্ষোভ।'

    এদিন এই বিক্ষোভের মুখে পড়ে বেশ কিছুক্ষণ বি টি রোড ক্যাম্পাসে ঢোকার মুখে অপেক্ষা করেন অস্থায়ী রেজিস্ট্রার। পরে তিনি গাড়ি ঘুরিয়ে জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে চলে যান। সেইসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, 'আমি কোনও ইস্তফাপত্র দিইনি। কর্মীদের কথায় কেন আমি পদত্যাগ করতে যাব?'

    উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ইতিমধ্য়েই রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে সংঘাত চরমে উঠেছে। তার জের গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। পরবর্তীতে শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ ও ব্যবস্থাপনায় দফায় দফায় রাজ্যের ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের নাম চূড়ান্ত হয়ে গেলেও বাকি, কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়-সহ ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রক্রিয়া এখনও ঝুলে রয়েছে।

    অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা গঠিত সার্চ কমিটি এখনও পর্যন্ত রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য হিসাবে কোনও নাম সুপারিশই করে উঠতে পারেনি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)