ছক কষেই ‘ট্রিপল মার্ডার’ ট্যাংরায়? খান বিশেক CCTV ক্য়ামেরা আগে থেকে বন্ধ করল কে?
হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
চারতলা বাড়ি। আগোগাড়া 'মোড়া' সিসিটিভি ক্যামেরায়। অথচ, একটিও ক্যামেরা পুলিশের কোনও কাজে আসছে না। কারণ - সব ক্যামেরাই পড়ে রয়েছে অকেজো হয়ে! যা কার্যত অসম্ভব!
যে বাড়ি নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটি ট্যাংরার অটল শূর রোডের সেই ঘটনাস্থল, গত বুধবার যে বাড়ির দোতলা দু'টি ঘর থেকে বাড়ির দুই বধূ - রোমি দে এবং সুদেষ্ণা দে, এবং অন্য একটি ঘর থেকে বাড়ির মেয়ে - ১৪ বছরের প্রিয়ম্বদা দের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
নিহত এই তিনজনের দেহের ময়নাতদন্ত বৃহস্পতিবারই সেরে ফেলা হয়। কিন্তু, তাতে বিশেষজ্ঞদের মনে বেশ কিছু খটকা তৈরি হয়েছে বলে দাবি সূত্রের। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই তিনজনকেই খুন করা হয়েছে।
শুক্রবার ওই বাড়িতে যান ময়নাতদন্তের সঙ্গে যুক্ত ফরেন্সিক মেডিসিন দলের সদস্যরা। মনে করা হয়েছিল, বাড়ির সিসিটিভি ক্যামরাগুলির ফুটেজ খতিয়ে দেখলেই অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, বাড়ির প্রত্যেকটি সিসিটিভিই বন্ধ বা অকেজো! আর এখান থেকেই সংশ্লিষ্ট একটা মহল অনুমান করছে, এটা শুধুমাত্র 'ট্রিপল মার্ডার' নয়, আদতে ঠান্ডা মাথায় পরিরল্পনা করেই এই খুনগুলি করা হয়েছে।
কারণ, দিন কয়েক আগেই বাড়ির সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা কেউ বা কারা বন্ধ করে রেখে দিয়েছিল? তাহলে কি বাড়ির দুই কর্তা প্রণয় বা প্রসূনই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন? নাকি এর নেপথ্য রয়েছে অন্য কোনও রহস্য? তাছাড়া, বাড়ির সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ 'পাসওয়ার্ড' দ্বারা সুরক্ষিত করা হয়েছে বলেও দাবি সূত্রের। ফলত, সারা বাড়িতে গোটা বিশেক সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও তার ফুটেজ তদন্তকারীরা এখনও দেখতে পাননি। সেই ফুটেজ যাতে দ্রুত দেখা সম্ভব হয়, সেই চেষ্টা করছে পুলিশ।
যদিও, ইতিমধ্যেই দে-বাড়ির উলটো দিকে, একটি বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ থেকে জানা গিয়েছে - বুধবার ভোররাত ১২টা ৫৮ মিনিটে প্রণয় ও প্রসূন তাঁদের গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান এবং তাঁদের সঙ্গে বাড়ির নাবালক সদস্য প্রতীপও ছিল। বাইপাসে ওই গাড়ির দুর্ঘটনা ঘটে ভোর ৩টে নাগাদ। প্রশ্ন উঠছে, মাঝের দু'ঘণ্টা ওই গাড়ি নিয়ে কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন দে ভাইরা? এবং তাঁরা কী করছিলেন ওই দু'ঘণ্টা ধরে?
এছাড়াও, বুধবারই বাড়ির দোতলা থেকে একটি কাগজ কাটার ছোট ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে রক্তমাখা ছিল। তদন্তকারীদের যেটা ভাবাচ্ছে, তা হল - দেহ উদ্ধার দোতলায় এবং রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার তিনতলায় কেন? এছাড়াও, বাড়ির অসংখ্য জায়গায় রক্তের ছিটে খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। সেসব কীভাবে হল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।