• চার্বাক দর্শনের নগ্ন চর্চাই কি চরম পরিণতির দিকে ঠেলে দিল ট্যাংরার দে পরিবারকে?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ট্যাংরায় একই পরিবারের ৩ নারী সদস্যের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় পরিচিতদের বক্তব্যে প্রশ্ন উঠছে দে পরিবারের আর্থিক শৃঙ্খলা নিয়ে। দে পরিবারের প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছর ধরে বেলাগাম জীবন যাপন করতে শুরু করেছিলেন প্রসূন, প্রণয়রা। জলের মতো টাকা খরচ করতেন তাঁরা। এমনকী ঋণ নিয়ে মেটাতেন বিলাসের চাহিদা। যার জেরেই ক্রমশ আর্থিক সঙ্কটে ভুগতে শুরু করেন তাঁরা।

    জানা গিয়েছে, প্রোটেকটিভ লেদার প্রাইভেট লিমিটেড নামে যে সংস্থার হাত ধরে দে পরিবারের উত্থান সেটি প্রণয় ও প্রসূনের বাবার তৈরি। দীর্ঘ ৬০ বছরের বেশি এই কারবার নিজে হাতে সামলেছেন তিনি। কয়েক বছর আগে মৃত্যু হয় তাঁর। প্রতিবেশীদের দাবি, এর পর বেলাগাম জীবনযাপন শুরু করেন দে পরিবারের ২ ভাই। বছরে একাধিকবার বিদেশযাত্রা করতেন তাঁরা। বছর বছর বদলাতেন গাড়ি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ৬ মাসে ৩ বার গাড়ি বদলেছেন তাঁরা। ফলে দে পরিবার যে আর্থিক সংকটে ভুগছেন তা কোনও ভাবেই টের পাননি তাঁরা।

    ওদিকে আত্মীয়রা জানাচ্ছেন, করোনা কালের পর থেকে ব্যবসায় মন্দা হলেও ঋণ নিয়ে বিলাসের চাহিদা মেটাতেন প্রসূন ও প্রণয়। বিদেশ ভ্রমণ হোক বা নতুন গাড়ি, সবই হত ঋণের টাকায়। কিন্তু ব্যবসায় মন্দা চলায় সেই ঋণ শোধ করতে পারতেন না তাঁরা। তখন এক ঋণ মেটাতে আরেক ঋণ নিতে হত তাঁদের। এভাবে ঋণের পাহাড় জমেছিল তাঁদের ওপরে।

    তবে দে পরিবারের কারখানার শ্রমিকরা জানাচ্ছেন, কোম্পানি ঠিক মতো না চললেও কর্মচারীদের বেতন এক টাকাও বাকি রাখেননি প্রণয় ও প্রসূন। পাওনাদারদেরও টাকা মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিলাসের নেশাই কি শেষ পর্যন্ত ডোবাল দুই ভাইকে। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)