বীরভূমে বন্ধ ঘর থেকে এক তরুণী ও তাঁর দুই সন্তানের দেহ ক্ষতবিক্ষত দেহ। কোনও ব্যক্তিগত আক্রোশেই এই নৃশংস খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে পর মনে করছেন তদন্তকারীরা। বীরভূম খুন নিয়ে সাংবাদিকদের জানালেন পুলিশ সুপার আমনদীপ। এ ছাড়াও ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে দু’জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিন খুনের রহস্যভেদে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। কী কারণে এত নৃশংস ভাবে খুন তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
শুক্রবার সকালে বীরভূমের মহম্মদবাজার থানা এলাকার ম্যানেজার পাড়ার এক বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় মা ও তাঁর দুই সন্তানের গলা কাটা দেহ। মাথাতেও ছিল ভারি কিছু দিয়ে আঘাতের ক্ষত। মৃতদের নাম লক্ষ্মী মার্ডি(২৫), রুপালি মার্ডি (১০), অভিজিৎ মার্ডি (৫)। মা ও মেয়ের নলি কাটা দেহ বিছানায় কম্বল মোড়ানো অবস্থায় পড়েছিল। শিশুপুত্রটির দেহ পড়েছিল মেঝেয়। সকালে ধান কাটতে মৃতা লক্ষ্মীকে ডাকতে আসেন তাঁর বৌদি। তখনই জানা যায় এই খুনের ঘটনা।
এরপরই ব্যাপক ক্ষোভ ছড়ায় এলাকায়। আততায়ীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। পুলিশ মৃতদেহ তুলতে এলে তাদের বাধা দেয় পরিবার ও স্থানীয়রা। বর্ধমান থেকে পুলিশ কুকুর এনে আততায়ীকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। পরে দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।
মৃতার স্বামী কর্মসূত্রে থাকেন দুর্গাপুরে। তাঁকে খবর দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ। পারিবারিক কোনও টানাপোড়েন এই ঘটনায় রয়েছে কী না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আটক দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন মাছ ব্যবসায়ী বলে খবর।