জাল সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ। বগুলা-২ পঞ্চায়েতের আধিকারিক-সহ তিন কর্মী গ্রেপ্তার নদিয়ায়। ধৃতদের আজ রানাঘাট মহকুমা আদালতে পাঠায় হাঁসখালি থানার পুলিশ। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বগুলা-২গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বেশ কিছু সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছিল। কয়েক হাজার জাল সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা তছরুপের অভিযোগও রয়েছে।
হাঁসখালি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিল্পী বিশ্বাস বলেন, ‘মোট ৪৮৮৮টি ভুয়ো জন্ম সার্টিফিকেট তৈরি করা হয়েছে। যেটা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। যেখানে একটা পঞ্চায়েতের একটা গ্রামে বছরের তিনটের থেকে চারটে শিশু জন্মায় সেক্ষেত্রে এই বিপুল শিশু জন্মের যে সার্টিফিকেট তৈরি হয়েছে তার অধিকাংশই জাল। সরকারি নথিতে ছাড়া ব্লক জুড়েও এত শিশু জন্মায়নি।’
এই ঘটনা নিয়ে বগুলা-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুস্মিতা বিশ্বাস বর্মন বলেন, ‘পুলিশ পুলিশের মতো কাজ করবে। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’ বিষয়টি নিয়ে হাঁসখালির বগুলা-২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘সম্পূর্ণ জাল জন্ম সার্টিফিকেট করা হয়েছে। শুধু চার জনকে গ্রেপ্তার করলে হবে না। এর দায় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকেও নিতে হবে। এর পেছনে যে রাজনৈতিক দলেরই লোক থাকুক না কেন তাঁদেরকেও গ্রেপ্তার করতে হবে।’