বিভিন্ন দাবি সামনে রেখে পুরকর্মীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালীন তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রক্ত ঝরল কৃষ্ণনগর পুরসভায়। লাঠি, বাঁশ ইত্যাদি নিয়ে দুই পক্ষ একে অপরের উপর চড়াও হয়। গন্ডগোলে গুরুতর জখম হলেন অন্তত পাঁচ জন। মাথা ফেটে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তৃণমূলের এক কর্মী। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
গন্ডগোলের সূত্রপাত শুক্রবার বেলা ৩টে নাগাদ। কৃষ্ণনগর পুরসভার বর্তমান এবং প্রাক্তন কর্মচারীরা গ্র্যাচুইটি-সহ একাধিক দাবি নিয়ে পুরসভা চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভ চলাকালীন পুরসভার চেয়ারম্যান রীতা দাস অন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। সেই সময় লাউডস্পিকার বাজানো নিয়ে শুরু হয় তর্কাতর্কি। অভিযোগ, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সেই বিবাদ গড়ায় মারামারিতে। দু’পক্ষের মারামারিতে আহত হন বেশ কয়েক জন।
পুরসভার মধ্যস্থতায় সাময়িক ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু কিছু ক্ষণ বাদে পুরসভা চত্বরে হাজির হন কয়েক’শো কর্মী-সমর্থক। লাঠি-বাঁশ নিয়ে একে অপরের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁরা। ভাঙচুর চালানো হয় পুরসভার আসবাবপত্রেও। মাথা ফেটে গুরুতর আহত হন দু’জন।
জানা যাচ্ছে, এক তৃণমূল কর্মী চোখে গুরুতর আঘাত পান। দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালান। পুরসভার চেয়ারম্যান গোটা ঘটনাকে ‘মস্তান বাহিনীর আক্রমণ’ বলে মন্তব্য করেছেন। পাল্টা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছেন পুরসভার একাধিক কাউন্সিলর। রিতা বলেন, ‘‘বাইরে থেকে মস্তান আনিয়ে পুরসভায় ভাঙচুর চালিয়েছে একটা দল। আমাকে হেনস্থা করার চেষ্টা হয়েছে।’’ চেয়ারম্যানের বিরোধী তৃণমূলের এক কাউন্সিলর বলেন, ‘‘পুরসভার চেয়ারম্যান অনৈতিক ভাবে কর্মচারীদের বেতন এবং গ্র্যাচুইটি আটকে রেখেছেন। তাই পুরসভার কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে গেলে তাঁদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে।’’