• প্রস্রাবে ‘সমস্যা’ মেটাতে পুরুষাঙ্গে সেফটিপিনের ‘খোঁচা’, হাসপাতাল যেতেই চমকে উঠলেন ডাক্তার
    এই সময় | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ঠিকমতো প্রস্রাব হচ্ছিল না বেশ কিছু দিন ধরে। সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে নিজেই উপায় বের করেছিলেন প্রত্যন্ত গ্রামের এক ব্যক্তি। সেফটিপিন দিয়ে প্রস্রাবের জায়গায় খোঁচা দিয়েছিলেন তিনি। আর তাতেই হয়েছিল ভয়ানক বিপদ। মূত্রনালি বা ইউরেথ্রার একেবারে ভিতরে পৌঁছে যায় সেফটিপিন। অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয় মেদিনীপুর সদর ব্লকের মণিদহ এলাকার ওই বাসিন্দার। প্রথমে স্থানীয় দেপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে যান তিনি। তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। মেদিনীপুর মেডিক্যালের এমার্জেন্সি থেকে ওই ব্যক্তিকে পাঠানো হয় সার্জারি বিভাগে। ওই হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডঃ সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় প্রথমে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। হাতে এক্স-রে রিপোর্ট পেয়েই চোখ কপালে ওঠে চিকিৎসকদের।

    রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকেরা জানতে পারেন, মূত্রনালির অত্যন্ত গভীরে চলে গিয়েছে একটি সেফটিপিন। ডঃ সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় জানান, পুরুষের মূত্রনালি ১৮ সেন্টিমিটারের মতো লম্বা হয়। সামনের দিক এবং ভিতরের দিক এই দুটো অংশে ভাগ করা যায়। এক্ষেত্রে একেবারে শেষের দিকে চলে যায় সেফটিপিন। তিনি বলেন, ‘মূত্রনালির অত্যন্ত গভীরে মেমব্রেনাস ইউরেথ্রা রয়েছে যার পরিসর মাত্র ১.২৫ সেমি। ওই জায়গায় আটকে ছিল সেফটিপিন। প্রয়োজনীয় পরীক্ষার পর আমরা অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিই।’ মেদিনীপুর মেডিক্যালে ইউরেথ্রোস্কোপির সুযোগ নেই, তাই করা হয় ওপেন সার্জারি। বুধবার রাতে ওই অস্ত্রোপচার করেন ডঃ সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সার্জারি বিভাগের টিম। নিরাপদে বের করা হয় সেফটিপিন। শুক্রবার বিকেলে ডঃ চট্টোপাধ্যায় জানান, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তি। আগামী সোমবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

    এমন ঘটনা বিরল বলতে না চাইলেও অস্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। মূত্রনালির অত গভীরে বাইরের কোনও বস্তু ঢুকে যাওয়া অস্বাভাবিক বলেই জানান চিকিৎসক। কী ভাবে ওই জায়গায় সেফটিপিন ঢুকল? চিকিৎসক এই ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। তবে রোগী জানিয়েছেন, প্রস্রাবে সমস্যা হওয়ায় তিনি নিজেই সেফটিপিন দিয়ে খুঁচিয়েছিলেন। তারপরেই নাকি এই বিপত্তি।

  • Link to this news (এই সময়)