হাতির হানায় দিশাহারা গ্রামের বাসিন্দারা। হাতির তাণ্ডবে তছনছ হচ্ছে চাষের জমি। তছনছ হচ্ছে জমির আলুও। খাবারের সন্ধানে হাতির দল হানা দিচ্ছে গ্রামে। দিনের পর দিন হাতির হানায় অতিষ্ঠ গ্রামবাসীরা। এই অত্যাচার আর ক্ষতি সহ্য করতে পারছেন না তাঁরা। তাই ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে এ বার তাঁরা বন দপ্তরের অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন। শুক্রবার তাঁরা বিক্ষোভ দেখান ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড় রেঞ্জের ভাউদি বিট অফিসে।
গত কয়েক দিন ধরেই লালগড় জুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে হাতির দল। হাতির হানায় নষ্ট হচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমির আলু। গত কয়েকদিনে আগলচোল , চাপিটোটা, দক্ষিণশোল , ডুঙুরকোঠা , কাঁকড়াদাড়, বিটডাঙ্গা এলাকায় হাতির দল বিঘার পর বিঘা জমির আলু খেয়ে নষ্ট করেছে ।
স্থানীয়রা জানান, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে শাবক-সহ প্রায় ৪০টি হাতি আছে লালগড় রেঞ্জের ঝিটকার জঙ্গলে । রাত হলেই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে জমির আলু খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছে হাতির দল। গত কয়েক দিনে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এলাকায় হাতির দল একবার ঢুকে পড়লে তাদের বের করা যাচ্ছে না। এক গ্রামের বাসিন্দারা হাতি তাড়াতে গেলে বাধা দিচ্ছেন পাশ্ববর্তী গ্ৰামের লোকজন। হাতি তাড়ানো নিয়ে মাঝেমধ্যেই তাদের নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি হচ্ছে। তার ওপর এলাকায় হাতির দল ঘুরে বেড়ালেও দেখা পাওয়া যাচ্ছে না বনবিভাগের কর্মীদের। এই অবস্থায় তাঁরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় মাহাতো।
এর প্রতিবাদ জানিয়ে এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করে শুক্রবার তাঁরা বিক্ষোভ দেখান ভাউদি বিট অফিসে। দ্রুত ক্ষতিপূরণে দাবি জানিয়ে ওই অফিসে তালাও ঝুলিয়ে দেন গ্রামবাসীরা।
লালগড় রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার লক্ষ্মীকান্ত মাহাতো জানিয়েছেন, গ্ৰামবাসীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। হাতির দলকে এলাকা থেকে দ্রুত এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।