• জাল সার্টিফিকেট তৈরির অভিযোগে নদিয়ায় চার পঞ্চায়েত কর্মী ধৃত
    প্রতিদিন | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: জাল সার্টিফিকেট তৈরির বড় দুর্নীতি সামনে এল? আর্থিক দুর্নীতি ও জাল সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার পঞ্চায়েতের সরকারি আধিকারিক-সহ তিন কর্মী। ঘটনাটি নদিয়ার বগুলা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের। ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জাল সার্টিফিকেট তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ।

    হাঁসখালি থানার পুলিশ তদন্তে নেমে দুর্নীতি ও জাল সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগে মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম শ্যামাপ্রসাদ বিশ্বাস, বিকাশ ঘোষ, গোপাল ঘোষ ও তনয় মণ্ডল। ধৃতদের আজ রানাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তাঁদের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    বগুলা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুস্মিতা বিশ্বাস বর্মন বলেন, “পুলিশ তাদের কাজ করবে। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।” এ ব্যাপারে হাঁসখালি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিল্পী বিশ্বাস বলেন, “মোট ৪৮৮৮টি ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি করা হয়েছে। যেটা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। যেখানে একটা পঞ্চায়েতের একটা গ্রামে বছরে তিনটে থেকে চারটে শিশু জন্মায়। সেক্ষেত্রে এই বিপুল শিশু জন্মের যে সার্টিফিকেট তৈরি হয়েছে, তা সম্পূর্ণ জাল। সরকারি নথিতে ছাড়া ব্লক জুড়েও এত শিশু জন্মায়নি।”

    পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরও বলেন, “আশাকর্মী, হেলথ সেন্টার, এমনকী বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নথিতে এর এক তৃতীয়াংশ শিশুর জন্মের নথি পাইনি। জাল নথি করার অভিযোগ এই পঞ্চায়েতের চার কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।” কেবল চারজনই নয়, আরও একাধিক ব্যক্তি এই ঘটনায় জড়িত আছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। কিন্তু কেন এত জাল সার্টিফিকেট তৈরি হল? কোথায় এইসব জাল সার্টিফিকেট পাঠানো হল? সেসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)