• বাঘিনীর প্রত্যাবর্তন! ১২ দিন পর ফের পুরুলিয়ায় জিনাতসঙ্গী, ধরা পড়ল ট্র্যাপ ক্যামেরায়
    প্রতিদিন | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সুমিত বিশ্বাস ও নব্যেন্দু হাজরা, পুরুলিয়া ও কলকাতা: বাঘিনীর প্রত্যাবর্তন পুরুলিয়ায়! প্রায় ১২ দিন পর ঝাড়খণ্ড ঘুরে আবারও বাংলায় পা রাখল জিনাতসঙ্গী। দলমা পাহাড় হয়ে শুক্রবার বান্দোয়ানের সেই রাইকা পাহাড়তলির ভাঁড়ারি জঙ্গলে প্রবেশ করে ওই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। দলমা থেকে ফেরার পদচিহ্ন মিলেছে।

    ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূমের পটমদা থানার জোড়সা, ঝুঁঝকা, টুঙ্গুবুরু-সহ পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের ঘাঁটিহুলি, যমুনাগোড়া, ভাঁড়ারি জঙ্গলে অসংখ্য পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টি হওয়ায় এদিন সকালবেলায় পায়ের ছাপ একেবারে স্পষ্ট ভাবে দেখতে পান ওই এলাকার মানুষজন। তবে এবিষয়ে বনদপ্তরের মুখে কুলুপ। অনুমান, ওই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের নিরাপত্তার কথা ভেবেই তার সঠিক অবস্থান জানাতে চাইছে না কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগ।

    লক্ষ্যণীয় বিষয় এই যে বারবার রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারটি রাইকা পাহাড়ের কাছে ভাঁড়ারি জঙ্গলেই আসছে। এর আগে এখানে প্রায় আটদিন কাটিয়েছে ওড়িশার সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পের জিনাত। তার সঙ্গী দলমা পাহাড়ে থাকাকালীন ঝাড়খণ্ড বনবিভাগের ট্র্যাপ ক্যামেরায় তার ছবিও ধরা পড়ে। এই বাঘকে ‘দক্ষিণবঙ্গের গর্ব’ বলেছে রাজ্য বনবিভাগ। তাই প্রথমে বাঘবন্দি অভিযান হলেও তা বন্ধ রাখা হয়েছে। একইভাবে ঝাড়খণ্ডেও কোনও বাঘবন্দি অভিযান হচ্ছে না।এই জিনাত সঙ্গীকে শুধু নজরদারিতে রাখছে বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের বনবিভাগ। আসলে এই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার একেবারেই হিংস্র নয়। বাংলা, ঝাড়খণ্ড দুই রাজ্যেই বাঘ দর্শন করা প্রত্যক্ষদর্শীরা বনবিভাগকে তা জানিয়েছেন। এই বাঘটি ঝাড়খণ্ডের পালামৌ থেকে এসেছে বাংলার বনাঞ্চলে।

    অন্যদিকে, কোনও ক্ষতি ছাড়াই জিনাতকে ধরতে বনদপ্তরের যে টিম কাজ করেছিল, তার ৯০ জন সদস্যকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার মাধ্যমে। তাঁদের কয়েকজনকে সেই শুভেচ্ছাবার্তা তুলে দিয়েছেন মন্ত্রী নিজে। বাকিদের পুরুলিয়া বা বাঁকুড়ায় আলাদা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে তা দেওয়া হবে বলে জানান বীরবাহা হাঁসদা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)