নাবালিকা বিয়ে রুখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় এবং সরকার। রাজ্য সরকার একাধিক সামাজিক প্রকল্প এনেছে। তার পরেও অ-প্রাপ্তবয়স্কদের বিয়েতে রাশ টানা যাচ্ছে না। নদিয়ার চাপড়ায় তেমনই একটি ঘটনায় পদক্ষেপ করল পুলিশ। নাবালিকা কন্যার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন বাবা-মা।
কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার চাপড়া থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় এক নাবালিকার বিয়ের আয়োজন হয়েছে। খবর পেয়ে পরিবারকে ‘সাবধান’ করে পুলিশ। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। মেয়েটির বিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে শেষমেশ তার বাবা-মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাঁদের কৃষ্ণনগর আদালতে হাজির করানো হয়। অন্য দিকে, নাবালিকার বাবার যুক্তি, আর্থিক অনটনের কারণে মেয়েকে পাত্রস্থ করতে যাচ্ছিলেন তিনি। বাধ্য হয়েই মেয়ের বিয়ে দিচ্ছিলেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার রাতে চাপড়া থানায় পুলিশের ‘বন্ধু’ গ্রুপের মাধ্যমে খবর আসে যে, বেতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১৪ বছরের এক বালিকার সঙ্গে ১৭ বছরের এক নাবালকের বিয়ে হচ্ছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। নাবালক পাত্র এবং পাত্রীর পরিবারকে বিয়ে বন্ধ করতে আবেদন জানানো হয়। কিন্তু দুই পরিবার জানায় তারা বিয়ে দেবেই। উপায়ন্তর না-দেখে অবশেষে পুলিশ নাবালক ‘পাত্র’ এবং নাবালিকা ‘পাত্রী’কে উদ্ধার করে হোমে পাঠায় তারা। নাবালিকার বিয়ের আয়োজনের অভিযোগে তার মা-বাবাকে গ্রেফতার করা হয়।
নদিয়ার জেলাশাসক অরুণ প্রসাদ বলেন, ‘‘নাবালিকা বিয়ে রুখতে বিভিন্ন রকম কর্মসূচি নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতা তৈরি করে নাবালিকাদের বিয়ে রোধ করার চেষ্টা হচ্ছে। শতাংশের হারে এই সংখ্যা অনেক কমেও এসেছে। তবে নাবালিকা বিয়ের সংখ্যা জেলায় শূন্যে নামিয়ে আনাই প্রশাসনের উদ্দেশ্য।’’ অন্য দিকে, নাবালিকার বাবা বলেন, ‘‘বিয়ে প্রশাসন বন্ধ করে দিল, ঠিক আছে। গরিব বলে বিয়ে দিচ্ছিলাম মেয়ের। টাকা-পয়সা থাকলে ছোট বয়সে কেউ মেয়ের বিয়ে দেয় না।’’