• নতুন করে পূর্ব বর্ধমানে ৫৭৫টি পরিবার বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন
    বর্তমান | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানে নতুন করে আরও ৫৭৫টি পরিবার বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। মাটির ভাঙা বাড়িতে তাঁরা ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছিলেন। জেলা প্রশাসন সমীক্ষা করে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করেছে। প্রত্যন্ত গ্রামেও ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের কাজ কতটা এগিয়েছে, তা জানতে নবান্ন থেকে নজরদারি চালাবেন আধিকারিকরা। প্রকল্পের টাকায় কেউ বাড়ি না করলেও তা চিহ্নিত করা যাবে। ‘এসআরএইচ’ অ্যাপসে বাড়ির ছবিও সরকারি কর্মীরা আপলোড করবেন। তাঁরা নিজেরা গ্রামে ঘুরে ছবি করবেন। 


    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অ্যাপসে উপভোক্তাদের নাম, ঠিকানা সহ তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে। প্রতিটি দফায় টাকা দেওয়ার আগে বাড়ির ছবি আপলোড করা হবে। মাঝ পথে বাড়ির তৈরির কাজ কেউ বন্ধ করে দিলে টাকা পাবেন না। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ বলেন, প্রতিটি ব্লকেই বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।


    প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, তালিকায় থাকা সমস্ত উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে রাজ্য সরকার প্রথম দফায় টাকা পাঠিয়েছে। একধিকবার সমীক্ষা করার পর টাকা পাঠানো হয়। যাঁদের পাকাবাড়ি নেই, তাঁদের অ্যাকাউন্টেই প্রকল্পের টাকা পাঠানো হয়। অনেক জেলাতেই টাকা দেওয়ার পরও অ্যাকাউন্ট থেকে তা ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, ওই উপভোক্তারা মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন। সমীক্ষক দল গ্রামে যাওয়ার সময় তাঁরা মাটির বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কেউ কেউ গোয়াল ঘরে সংসার পেতেছিলেন। তা দেখে সমীক্ষকরা তাঁদের নাম তালিকায় রেখে দেন। পরে দেখা যায় ওই উপভোক্তাদের পাকাবাড়ি রয়েছে। টাকা পাওয়ার জন্যই তাঁরা মাটির বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তথ্য যাচাই করার পর তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আরএক আধিকারিক বলেন, তিনবার তালিকা যাচাই করার পর তা চূড়ান্ত করা হয়েছে। টাকা পাওয়ার পরও যাঁরা কাজ শুরু করছেন না, তাঁদের কাছে থেকে তা ফিরিয়ে নেওয়া হবে। 


    উপভোক্তাদের একাংশের অবশ্য অভিযোগ, ইমারতি সামগ্রীর দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে। বালির দামও ঊর্ধ্বমুখী। ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় বাড়ি তৈরি করতে বেগ পেতে হচ্ছে। যদিও আধিকারিকদের দাবি, সরকার হিসেব করেই টাকা বরাদ্দ করেছে। ওই টাকায় ছোট একতলা বাড়ি হয়ে যাবে। প্রয়োজনে উপভোক্তাদের কিছু টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দ করলে এই সমস্যা হতো না। দিল্লির সরকার টাকা দিলে রাজ্য বরাদ্দের পরিমাণ বাড়াতে পারত। তবে রাজ্য সরকারের দেওয়া ওই টাকা অন্য কোনও খাতে ব্যয় করা যাবে না। উপভোক্তারা ইমারতি সামগ্রী নিজেরাই কিনতে পারবেন। কোনও সিন্ডিকেট তাঁদের উপর জুলুম করতে পারবে না। সেটা হলে উপভোক্তারা জেলা প্রশাসনে অভিযোগ করবেন। তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ করা হবে। প্রথম দফায় টাকা পাওয়ার পর বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করতেই হবে। অ্যাপসের মাধ্যমে সবটাই নবান্নের নজরদারির মধ্যে থাকবে।
  • Link to this news (বর্তমান)