• জেলা হাসপাতালে সফল হাঁটু প্রতিস্থাপন
    বর্তমান | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে এই প্রথম কোনও রোগীর হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হল। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের অস্থি শল্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মীর নাসির আহম্মদ ওন্দার ঝাঁটবনী গ্রামের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়ার হাঁটু প্রতিস্থাপন করেন। প্রতিস্থাপন সফল হওয়ায় খুশি হাসপাতালের চিকিৎসক ও আধিকারিকরা। বিষ্ণুপুর হাসপাতালের সুপার শুভঙ্কর কয়াল বলেন, এখানে এই প্রথম কোনও রোগীর হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হল। সাধারণত এই অপারেশন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই হয়। তবে আমরা প্রথমবার তা করতে পেরেছি। তারজন্য কিছু সরঞ্জাম আনাতে হয়েছে। আমাদের সিএমওএইচ তার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সেইমতো রোগীর অপারেশন হয়। উনি এখন সিসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। আমাদের হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের উপর ভরসা করার জন্য রোগীর পরিজনকে ধন্যবাদ। ওই অপারেশনটি করেছেন চিকিৎসক মীর নাসির আহম্মদ। তিনি বলেন, বছর আটচল্লিশের মুক্তা মান্নার ডানহাঁটুতে সিভিয়ার অস্টিওআর্থ্রাইটিস হয়েছিল। তাঁর হাঁটুর হাঁড় বেকে যাওয়ায় হাঁটাচলা করতেও খুব অসুবিধা হচ্ছিল। বাইরে ওই চিকিৎসা করাতে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হতো। এখানে তা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হয়েছে। হাঁটু প্রতিস্থাপন করতে রোগীর পরিজনদের একটি পয়সাও খরচ করতে হয়নি। আপাতত রোগীকে কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। রোগীর জামাই বিষ্ণুপুর শহরের বাসিন্দা শিবম লাহা বলেন, আমার শাশুড়িকে কয়েকমাস আগে হাসপাতালের আউটডোরে দেখানো হয়েছিল। এক্স-রে করে ডাক্তারবাবু হাঁটু প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। শুনেই আমরা প্রথমে বাইরে চিকিৎসা করানোর কথা ভাবি। কিন্তু বর্তমানে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রয়েছেন। উন্নত যন্ত্রপাতিও রয়েছে। তাই জটিল অপারেশন হলেও এখানেই করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেইমতো বৃহস্পতিবার অপারেশন হয়েছে। রোগী এখন ভালো আছেন। • হাঁটু প্রতিস্থাপন করার বিষয় ব্যাখ্যা করছেন সুপার শুভঙ্কর কয়াল (বাঁদিকে) ও অস্থি শল্য বিশেষজ্ঞ মীর নাসির আহমেদ।- নিজস্ব চিত্র 
  • Link to this news (বর্তমান)