• রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে অরূপ, সপ্তাহে কমপক্ষে ৪ দিন ডিউটি করতে হবে সিনিয়র ডাক্তারদের  
    বর্তমান | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: রোগীর চাপ সামালাতে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকদের অন্তত চারদিন ডিউটি করা দরকার। শুক্রবার হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে সরকারের প্রতিনিধি তথা বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য বলেন। আরজি কর কাণ্ডের পর এদিনই প্রথম বাঁকুড়া মেডিক্যালের নবগঠিত রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সাংসদ ছাড়াও মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ তথা পদাধিকারবলে সমিতির চেয়ারম্যান পঞ্চানন কুণ্ডু, এমএসভিপি তথা সমিতির আহ্বায়ক অর্পণকুমার গোস্বামী সহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ বাঁকুড়া মেডিক্যালের লোকপুর ক্যাম্পাসের কনফারেন্স হলে ওই বৈঠক হয়।


    বৈঠক শেষে সাংসদ বলেন, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্ডোরে ১২০০ রোগী ভর্তি থাকেন। আউটডোরে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে চার হাজার রোগী চিকিৎসা করান। ফলে দৈনিক সবমিলিয়ে হাসপাতালে ছ’হাজার রোগীকে পরিষেবা দেওয়া হয়। সেই তুলনায় চিকিৎসকের সংখ্যা অনেক কম। কিছু চিকিৎসক কলকাতা থেকে যাতায়াত করে ডিউটি করেন। তাঁরা সপ্তাহে গড়ে দু’দিন ডিউটি করেন বলে অনেকে জানিয়েছেন। তাঁদের অন্তত চারদিন ডিউটি করতে হবে। তা না হলে ভালোভাবে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যাবে না। 


    এমএসভিপি বলেন, চিকিৎসকদের নিয়মিত হাজিরা দেওয়ার জন্য আমরাও বলেছি। হাসপাতালে কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম ও কার্ডিওলজি বিভাগের আধুনিকীকরণের প্রয়োজন রয়েছে। বিষয়টি আমরা সাংসদকে জানিয়েছি। তা নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। 


    বাঁকুড়া মেডিক্যালের জায়গা জবরদখল হয়ে যাচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠছে। এদিনের বৈঠকে ওই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে সাংসদের সাহায্য চান। সমস্যা সমাধানে সবরকম সাহায্য করা হবে বলে অরূপবাবু এদিন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে প্রতিশ্রুতি দেন। প্রয়োজনে আইন প্রয়োগ করে সরকারি জায়গা জবরদখলমুক্ত করতে হবে বলেও সাংসদ জানান। বাঁকুড়া মেডিক্যালে বর্তমানে স্বাস্থ্য কর্মীর বহু পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। ওইসব শূন্য পদে নিয়োগের ব্যাপারেও বৈঠকে আলোচনা হয়। প্রাথমিকভাবে ১৫০টি পদে লোক নিয়োগের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। যদিও নিয়োগের জন্য রাজ্যস্তরের সবুজ সংকেত প্রয়োজন বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। তা যাতে সহজে পাওয়া যায়, তারজন্য বিভিন্ন মহলে তদ্বির করার ব্যাপারেও এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র 
  • Link to this news (বর্তমান)