সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে রাস্তা। যার জন্য রামঘাটে সেতু তৈরির সুফল শিলিগুড়ি শহরে পৌঁছচ্ছে না। শিলিগুড়ি শহরের যানজট মুক্ত করা এবং মাটিগাড়ার পতিরাম এলাকার মানুষের শিলিগুড়ির সঙ্গে যোগাযোগ সংক্ষিপ্ত ও সহজ করার জন্য রামঘাটে সেতু তৈরি হয়েছিল। সেই সেতুর মুখ থেকে মাটিগাড়া পর্যন্ত রাস্তাটি গত চারবছর ধরে বেহাল। রাস্তায় বড় বড় গর্ত। এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল থাকায় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ। রাস্তার দু›পাশের দোকানিরা বলেন, বর্ষাকালে রাস্তার জমা জল ছিটে এসে দোকানের জিনিস নষ্ট করে দেয়। আর এখন রাস্তার ধুলো এসে দোকান ভরিয়ে দিচ্ছে। এক অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্যে আমরা রয়েছি। এই রাস্তা ও সেতু যখন হয়েছিল তখন আমরা আশীর্বাদ বলে মনে করেছিলাম। এখন দেখছি এই রাস্তা সবদিক দিয়েই আমাদের কাছে অভিশাপ হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বছরদেড়েক আগে এই রাস্তা মেরামতের জন্য পাথর ফেলা হয়েছিল। এখন সেখানেও পাথর সরে গিয়ে গর্ত তৈরি হয়েছে। রামঘাট সেতু থেকে পতিরাম জোতের চৌরঙ্গী মোড় পর্যন্ত রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এলাকার বাসিন্দাদের আশঙ্কা, যে কোনও দিন এখানে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ, এই রাস্তা দিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি বেপরোয়াভাবে চলাচল করে। মাঝেমধ্যেই গাড়ি উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। এই রাস্তাটি শিলিগুড়ি ও মাটিগাড়ার মধ্যে দূরত্ব সংক্ষিপ্ত করেছে। দুপারের লোকেরাই এই রাস্তা দিয়ে স্কুটার, বাইক নিয়ে চলাচল করেন।
এলাকাটি মাটিগাড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। প্রধান দীপালি ঘোষ বলেন, এই রাস্তা সংস্কারের জন্য ২০২৩ সালে এসজেডিএ টেন্ডার করে কাজ শুরুর প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন চলে আসায় তা বন্ধ হয়ে যায়। নির্বাচনের পর এসজেডিএ-র সভাপতিকে সরিয়ে দার্জিলিংয়ের জেলাশাসকের হাতে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু কাজ এগোয়নি। তবে সম্প্রতি এই কাজ শুরুর ব্যাপারে এসজেডিএ উদ্যোগ নিয়েছে। গত সপ্তাহে এসজেডিএ›র আধিকারিকরা এসেছিলেন। রাস্তা বড় করার জন্য দু›পাশে যারা জমি দিয়েছেন সার্ভে করে সেই জমিদাতাদের তালিকা হবে। আশা করছি কয়েক মাসের মধ্যেই এই রাস্তার কাজ শুরু হবে।
এসজেডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রাস্তাটি ৬০ফুট চওড়া করা হবে। সেজন্য দুপাশে কিছু জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। রাস্তার দু›ধারে বিভিন্ন জায়গায় ৬৩ জনের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সেই জমিদাতাদের ক্ষতিপূরণ দেবে এসজেডিএ। মোট ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাথমিকভাবে দু›কোটি টাকা ধরা হয়েছে সরকারি দরে। রাস্তার কাজের জন্য খরচ ধরা হয়েছে চার কোটি টাকা। -নিজস্ব চিত্র