• হাসপাতালের জায়গায় দখলদারি নয়, বৈঠকে বার্তা জ্যোতিপ্রিয়র
    বর্তমান | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: সরকারি হাসপাতালের জায়গা ‘জবরদখল’ হয়ে যাচ্ছে। গজিয়ে উঠছে একের পর এক অস্থায়ী দোকান। ছোট হয়ে যাচ্ছে হাসপাতালের সামনের জায়গা। চূড়ান্ত নাকাল হচ্ছেন রোগীর পরিজনরা। শুক্রবার হাবড়া হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে এই ‘জবরদখল’ রুখতে কড়া নির্দেশ দিলেন বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকও করেন তিনি। বিধায়কের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় হাবড়া হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি ১০০ শয্যার নতুন ভবন দ্রুত চালু করার জন্য স্বাস্থ্যদপ্তরে সুপারিশ করবেন বলেও জানিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী।


    জেলমুক্ত হওয়ার পর হাবড়ায় পা রেখেই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে তৎপর  হয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। সেই সূত্রে এদিন হাবড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকেও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কথাই শোনা গেল তাঁর গলায়। বারাসত হাসপাতাল ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত হয়েছে। এবার হাবড়া ও অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালকে জেলা হাসপাতালের সমমানে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে হাসপাতালের ‘মা’ ক্যান্টিনের খাবারের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য বিধায়ক পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছেন। এর জন্য দু’জন কাউন্সিলারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, ‘রোগীরা যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তাই তাঁদের ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতেই হবে। পুলিসি নজরদারি বৃদ্ধিরও দরকার।’ হাসপাতালের সুপার ডাঃ বিবেকানন্দ বিশ্বাস বলেন, ‘এদিন বিধায়ক হাসপাতালের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন।’ 


    হাবড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র সাহা বলেন, ‘হাসপাতালের ভিতরে যাঁরা ব্যবসা করেন, তাঁদের ট্রলি দেওয়া হয়েছে। ট্রলি করেই তাদের ব্যবসা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও জবরদখল বরদাস্ত করা হবে না। হাসপাতাল পরিষ্কার রাখতে ১৭জন কর্মী আছেন। আরও ১০ জন কর্মী দেওয়া হচ্ছে।’ - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)