• অ্যাডভোকেটস বিলে মর্যাদাহানি, পরশু পেন ডাউন আইনজীবীদের
    এই সময় | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়: কেন্দ্রের প্রস্তাবিত অ্যাডভোকেটস অ্যামেন্ডমেন্ট বিল (২০২৫)–কে আইনজীবীদের মর্যাদা ও স্বাধীনতা হরণের চেষ্টা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন দেশের আইনজীবীমহলের বড় অংশই। ওই বিলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজ্যে (দিল্লিতে আজ থেকে লাগাতার) আইনজীবীরা পেন ডাউন শুরু করেছেন। সোমবার একই পথে হাঁটতে চলেছেন বাংলার আইনজীবীরা। সে দিন কলকাতা হাইকোর্ট–সহ গোটা রাজ্যের সব আদালতে আইনজীবীরা পেন ডাউন করবেন। ফলে পরশু গোটা রাজ্যে বিচার–প্রক্রিয়া স্তব্ধ হওয়ার আশঙ্কা। রাজ্য বার কাউন্সিল শুক্রবার তড়িঘড়ি বৈঠক ডেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    ওই বিলে প্রস্তাব করা হয়েছে—পাঁচ বছর অন্তর আইনজীবীদের পরীক্ষা দিতে হবে যোগ্যতা প্রমাণে, ষড়যন্ত্র বা অন্তর্ঘাত করে যদি মামলা হারেন, তা হলে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ডকে (যে আইনজীবীর নামে মামলা দায়ের হয়) মক্কেলকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আদালতে কর্মবিরতিতে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপেরও সুপারিশ রয়েছে। এ সবই তাঁদের স্বার্থবিরোধী বলে অভিযোগ করেছেন আইনজীবীরা।

    রাজ্য বার কাউন্সিলকে আইনজীবীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সার্টিফিকেট যাচাইয়ের দায়িত্বও দিতে চাওয়া হয়েছে বিলে। আরও বলা হয়েছে, কোনও মক্কেল কোনও আইনজীবীর বিরুদ্ধে রাজ্য বার কাউন্সিলে অভিযোগ করলেও কাউন্সিল যদি যথাযথ পদক্ষেপ না–করে তা হলে সেই বার কাউন্সিল বা তার অধীন ডিসিপ্লিনারি কমিটির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যাবে। জাল সার্টিফিকেট নিয়ে কোনও আইনজীবী প্র্যাকটিস করছেন বলে প্রমাণ হলে আগের ছ’মাসের কারাদণ্ডের পরিবর্তে এক বছর জেল ও দু’লক্ষ টাকা জরিমানারও সুপারিশ করা হয়েছে।

    আইনজীবীদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠলেও পদক্ষেপ করতে হবে বার কাউন্সিলকে। বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার অধীনে পাবলিক গ্রিভান্স সেল তৈরি হবে। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বা কোনও হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে দু’টি হাইকোর্টের দুই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, এক জন সিনিয়র আইনজীবী, বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার এক সদস্যকে রেখে কমিটি গড়ার প্রস্তাব রয়েছে। কোনও সমস্যা সামাধানে রাজ্য বার কাউন্সিল ব্যর্থ বলে ওই কমিটিই সেই কাজ করবে। এমন সব প্রস্তাবকেই তাঁদের মর্যাদা হরণের চেষ্টা হিসেবে দেখছেন বহু আইনজীবী।

  • Link to this news (এই সময়)