• প্রতারণারও যেন বিরাম নেই! এক ক্লিকেই হাওয়া ৮১ হাজার
    এই সময় | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, বালুরঘাট: প্রচার কিংবা সচেতনতা চলছে পুরোদমে। এ দিকে, প্রতারণারও যেন বিরাম নেই!

    একটা ফোন। কয়েকটি বাক্য। তারপরে মুহূর্তেই ফাঁকা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট। এ বারে প্রতারণার শিকার দক্ষিণ দিনাজপুরের এক কেবল ব্যবসায়ী। কেওয়াইসি (নো ইওর কাস্টমার) আপডেটের নামে প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে তাঁর দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গেল ৮১ হাজার টাকা! চিকিৎসার জন্য জমিয়ে রাখা অর্থ হারিয়ে দিশেহারা সঞ্জয় বিশ্বাস নামে ওই ব্যবসায়ী।

    শুক্রবার সকাল। ঠেঙাপাড়ার ব্যবসায়ী সঞ্জয় বিশ্বাসের ফোন বেজে ওঠে। ও পার থেকে ভরসা জাগিয়ে বলা হয়— ‘আপনার গ্যাস–ভর্তুকির টাকা আটকে আছে। অবিলম্বে কেওয়াইসি আপডেট না–করলে পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে!’ কপালে ভাঁজ পড়ে ব্যবসায়ীর। ব্যাঙ্কে টাকা ঢুকছে না? প্রতারক তখনই হোয়াটসঅ্যাপ-এ কয়েকটি নথি পাঠাতে বলেন। বিন্দুমাত্র সন্দেহ না–করে সঞ্জয় নিজের ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্য পাঠিয়ে দেন।

    কয়েক মিনিটের মধ্যেই সঞ্জয়ের মোবাইলে একের পর এক লেনদেনের নোটিফিকেশন আসতে শুরু করে। চোখের সামনে তাঁর দু’টি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে যথাক্রমে ৫২ হাজার ও ২৯ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়। তখন বুঝতে পারেন, প্রতারণার শিকার তিনিও।

    সঙ্গে সঙ্গে থানায় ছোটেন সঞ্জয়। দক্ষিণ দিনাজপুর সাইবার থানায় অভিযোগও জানিয়েছেন। সঞ্জয় বলছেন, ‘চিকিৎসার জন্য জমানো সব টাকা শেষ। এখন কী করব আমি!’ সাইবার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ব্যাঙ্ক বা গ্যাস সংস্থা কখনও ফোন করে কেওয়াইসি আপডেট চায় না। অপরিচিত নম্বর থেকে আসা ফোনে ব্যাঙ্কের তথ্য শেয়ার করলেই প্রতারিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে।

    মুহূর্তের ভুলেই ফাঁকা হয়ে যেতে পারে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। তাই এমন ফোন এলে এড়িয়ে যাওয়া ভালো। না হলে সরাসরি ব্যাঙ্ক বা গ্যাস সংস্থার দফতরে গিয়ে সরাসরি কথা বলুন। বালুরঘাট সাইবার থানার আইসি জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • Link to this news (এই সময়)