এই সময়, রায়গঞ্জ: বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে অশিক্ষক কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন উপাচার্য। তাঁর গাড়ি গাড়ি আটকে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সদস্যরা। শুক্রবার ওই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। অশিক্ষক কর্মীদের অভিযোগ, উপাচার্য দীপক কুমার রায় তাঁদের সঙ্গে দেখা করার সময় দিয়েও দেখা না–করেই বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই কারণেই এই বিক্ষোভ। যদিও উপাচার্য অভিযোগ অস্বীকার করেন।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ তুলে অশিক্ষক কর্মী তপন নাগকে মাস সাতেক আগে সাসপেন্ড করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তপন শিক্ষাবন্ধু সমিতির জেলা সভাপতি। তাঁর সাসপেনশন তোলার দাবিতে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন সংগঠনের সদস্যরা। সেই সময়ে উপাচার্যকে রাতভর ঘেরাও করেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। তখন অসুস্থ হয়ে পড়েন উপাচার্য। তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিও করানো হয়।
অভিযোগ, সেই ঘটনার পর থেকে প্রায় আড়াই মাস বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন না উপাচার্য। শুক্রবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানেই যোগ দিতে আসেন উপাচার্য। শিক্ষাবন্ধু সমিতির সদস্যদের দাবি, এ দিন উপাচার্যের আসার খবর পেয়ে তাঁরা তপন নাগের সাসপেনশন তোলার বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে চান। উপাচার্য দুপুর ১টায় সময়ও দেন। অভিযোগ, সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে সাথে কথা না–বলেই বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন উপাচার্য। সেই সময়ে তাঁর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে উপাচার্যের আশ্বাসে তখনকার মতো বিক্ষোভ উঠে যায়।
সংগঠনের রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবজার্ভার বিজয় দাস বলেন, ‘উপাচার্যই আমাদের সঙ্গে দেখা করার সময় দিয়েছিলেন। অথচ সেই কথা না–রেখেই তিনি বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। আগামী সোমবার তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তারপরেই আমরা বিক্ষোভ তুলে নিই।’ যদিও অশিক্ষক কর্মীদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে উপাচার্য দীপক কুমার রায় বলেন, ‘অশিক্ষক কর্মীরা কথা আমি শুনেছি। সাসপেনশন তোলার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী হবে।’