১.৬৯ কোটির জাল প্রেশারের ওষুধ কি রোগীদের ঘরে! খুঁজে বের করাই মাথাব্যথা ড্রাগ কন্ট্রোলের
বর্তমান | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি কলকাতা ও সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: ব্লাড প্রেশারের নামী ব্র্যান্ডের ওষুধ জাল চক্র নিয়ে ঘুম উড়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসারদের। সেই ওষুধ বিক্রির অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে আমতার মান্না এজেন্সির মালিক বাবলু মান্নাকে গ্রেপ্তার করেন রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসাররা। পাশাপাশি ওই ওষুধ এজেন্সির গোডাউনও ‘সিল’ করে দেওয়া হয়। ওই ব্যক্তি বিহারের পাটনা থেকে সবসুদ্ধ ১ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকার ‘জাল’ ওষুধ কেনেন বলে অভিযোগ। তার মধ্যে ১৭ লক্ষ টাকার ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
বাকি ১ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকার জাল ওষুধ কোথায় গেল? সেগুলি কি বিভিন্ন খুচরো দোকানের স্টকে রয়েছে? নাকি একটি বড় অংশই চলে গিয়েছে রোগী-ক্রেতাদের কাছে? সরল বিশ্বাসে রোগীরা সেগুলি কি খেয়েও ফেলতে পারেন? এই তথ্যগুলি জানাই এখন ড্রাগ কন্ট্রোলের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, জাল ওষুধে রোগীদের কোনও উপকার হওয়ার কথাই নয়। সেক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের হৃদযন্ত্র বিকল, এমনকী প্রাণঘাতী সমস্যাও হতে পারে।
এদিকে শুক্রবার উলুবেড়িয়া আদালত ধৃত বাবলু মান্নাকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সূত্রের খবর, তিনি ২০ বছরের ওষুধ ব্যবসায়ী। তিনমাস ধরে অভিযুক্ত সংস্থার ওষুধ নিয়ে ব্যবসা করছেন। বাবলু মান্না দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ এনে বিক্রি করেন। সেইমতো এই জাল ওষুধ আনেন তিনি বিহার থেকে।
প্রসঙ্গত, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের একটি নামী ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা সম্প্রতি জানতে পারে যে, তাদের ওষুধের কিউআর কোড জাল করা হয়েছে এবং তা ছড়িয়েও গিয়েছে বাজারে। এরপরই ওই সংস্থা ড্রাগ কন্ট্রোলে অভিযোগ জানায়। তার ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত এবং ওই জাল ওষুধের হদিশও মেলে। তার নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। তাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে ওষুধগুলি সত্যিই ‘জাল’! সেইমতোই বৃহস্পতিবার বিকালে ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসাররা আমতায় মান্না এজেন্সির গোডাউনে হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ জাল ওষুধ বাজেয়াপ্ত করেন। বাবলু মান্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়।