• প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা দিতে পারলেন না CU-র ৩০০ পড়ুয়া! দেরি রেজিস্ট্রেশনে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা দিতে পারলেন না কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০০ জন পড়ুয়া। জানা যাচ্ছে, এ সমস্ত পড়ুয়ারা কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁরা একাধিকবার কলেজ পরিবর্তন করেছিলেন, যা নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এর ফলে তাঁদের রেজিস্ট্রেশন সম্ভব হয়নি। এদিকে, রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ না দেওয়ার অভিযোগ তুলে আগেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছে একটি কলেজ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


    চলতি শিক্ষা বছরে কলেজগুলিতে উচ্চ শিক্ষা দফতরের নজরদারিতে কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ক্লাস শুরু হওয়ার পরও বহু কলেজে বহু আসন ফাঁকা থেকে যায়। তখন আরও পড়ুয়াদের ভর্তি নিতে বলা হয়। সেই সময় বহু পড়ুয়া কলেজ পরিবর্তন করেছেন। জানা যাচ্ছে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দিয়েছিল। তবে সমস্যার কারণে অনেকের রেজিস্ট্রেশন হয়নি। মূলত কলেজ পরিবর্তনের ফলে এই সব পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশনে সমস্যা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। 

    এক পড়ুয়ার বক্তব্য, প্রথমে যে কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন সেই কলেজে তাঁর নাম নথিভুক্ত করা হয়েছিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য। কিন্তু, যখন তিনি কলেজ পরিবর্তন করেছিলেন এবং ট্রান্সফার সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেছিলেন, তখন প্রক্রিয়ায় দেরি হয়ে গিয়েছিল। তার ফলে তিনি রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাননি এবং ফর্ম জমা দেওয়ার তারিখও শেষ হয়ে যায়। তিনি জানান, এরপর তিনি কলেজের পরামর্শ মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার বিভাগে যান। কিন্ত, তারপরেও রেজিস্ট্রেশন হয়নি। ফলে তিনি পরীক্ষায় বসতে পারেননি। 

    অন্যদিকে, কলকাতার একটি কেন্দ্রীয় কলেজের এক পড়ুয়াও একইভাবে দেরিতে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট পাওয়ার কারণে একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। এক পড়ুয়া জানান, তিনি ২০২৩ সালে ভর্তি হয়েছিলেন। এ বছর ফের নতুন করে ভর্তি হন। তাই নতুন করে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, দুটি রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি না থাকায় বাতিল হয়ে যায়, যা তার জানা ছিল না।

    কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, এই সমস্যার একাধিক কারণ রয়েছে। কিছু পড়ুয়া এক কলেজে ভর্তি হয়ে নাম নথিভুক্ত করেছেন। আর এক বছর বাদ পড়ার পর আবার অন্য কলেজে ভর্তি হয়েছেন। তখন তাঁরা নতুন রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করেছেন। এটা একটা সমস্যা। আবার কেউ-কেউ রেজিস্ট্রেশনের জন্য শেষ সময় হাতছাড়া করেছেন বা সময়মতো ফর্ম-ফিলআপ করেননি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশনের শেষ তারিখ বাড়িয়ে আমরা কলেজ এবং পড়ুয়াদের যথেষ্ট সুযোগ দিয়েছি। কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং পড়ুয়াদের একটি অংশ যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করেনি।’ যদিও কলজগুলির বক্তব্য, পদ্ধতিগুলি আরও সহজ করা দরকার।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)