দমদমে প্রবীণ দম্পতিকে ভয় দেখিয়ে লুটপাটের ঘটনার চার দিন পরেও কাউকে ধরতে পারেনি পুলিশ। ফলে, পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের দাবি, তদন্তে বেশ কিছু সূত্র মিলেছে। যার ভিত্তিতে জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। সম্প্রতি কলকাতায় ঘটে যাওয়া লুটপাটের বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে দমদমের এই ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তা-ও দেখা হচ্ছে বলে দাবি পুলিশের।
দমদম পুর এলাকার রাস্তায় কিছু সিসি ক্যামেরা থাকলেও সেগুলির সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে ওই পুরসভা। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, সিসি ক্যামেরা বসালে নজরদারি অবশ্যই বাড়বে। তবে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে তাদের ধরতে হবে। এই ঘটনায় যেমন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পেয়েছে পুলিশ। অথচ, চার দিন পার হলেও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
দমদম পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নলতা স্কুলবাড়ি রোডে রবিবার গভীর রাতে লুটের ঘটনাটি ঘটে। একটি দোতলা বাড়ির একতলার পিছন দিকের জানলার গ্রিল কেটে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। দোতলায় গিয়ে বৃদ্ধা গৃহকর্ত্রী পুতুল মজুমদারকে অস্ত্র দেখিয়ে লুটপাট করে তারা। ঘরে ছিলেন তাঁর শয্যাশায়ী স্বামী, পক্ষাঘাতগ্রস্ত শঙ্কর মজুমদার। লুটের পরে একই পথে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীর দল।
পুলিশের দাবি, একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ মারফত গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হাতে এসেছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, দুষ্কৃতী দলে ছ’-সাত জন ছিল। দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট জানান, সিসি ক্যামেরা রয়েছে। নজরদারি আরও কতটা বাড়ানো যায় এবং সেই সূত্রে কোথায় কত অতিরিক্ত সিসি ক্যামেরা প্রয়োজন, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।