শনিবার থেকে সিপিআইএম-র ২৭ তম রাজ্য সম্মেলন শুরু হুগলির ডানকুনিতে। ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে কি শূন্যের গেরো কাটবে? কাঁটাছেড়া করবেন বাম নেতৃত্ব। তবে, রাজ্য নেতৃত্বের অনেকটাই ভরসা বেড়েছে তরুণ সমাজের উপর। রাজ্য সম্মেলনের আগে কী বলছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, সৃজন ভট্টাচার্যরা।
ভোট কেন বাড়ছে না?
মীনাক্ষীর কথায়, ‘ভোট লুট করতে গোটা ব্যবস্থাটাকে অন্যায় ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোট থেকে শুরু হয়েছিল। ২০১৮-র পর পুরসভা ভোটেও দেখা গিয়েছে সেই চিত্র।’ তাঁর দাবি, 'আমাদের সময় বিডিও-কে বদলি হতে হয়নি বা শাস্তির মুখে পড়তে হয়নি। ব্যালট চিবিয়ে খেতে দেখা যায়নি।’
আরজি করের প্রভাব পড়বে?
মীনাক্ষী বলেন, ‘১৪ তারিখ রাত থেকে মা-বোনেরা রাস্তায় নেমে জানিয়ে দিয়েছে তোমরা অপদার্থ।’ মূলত শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান-এর কথা তুলে ধরেই মানুষের সমর্থন ফিরিয়ে আনা যাবে বলে মনে করছেন বাম নেত্রী। তিনি বলেন, ‘যদি কাজ না হয়, কলকারখানা না হয়, আমাদের নিরাপত্তা না হয়, স্বাস্থ্য না হয়, চাষ না হয়, তা হলে আমরা প্রত্যেকেই খুব বিপদে পড়ব। গোটা রাজ্যের মানুষের কাছে এটাই বলতে চাইব।’
অন্যদিকে, সৃজনের বক্তব্য, ‘সরকার ভোটে জেতার জন্য জনমোহিনী কাজে টাকা খরচ করছে প্রচুর। কিন্তু সেই টাকা ফেরত আসার মতো কিছু করছে না। ফলে রাজ্য ক্রমশ দেউলিয়া হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। শিল্পায়নের কথা আবার নতুন করে বলতে হবে। এই সম্মেলন থেকেও আমরা ভবিষ্যতের কাজ তৈরির চেষ্টা, কর্মসংস্থানের চেষ্টা, স্থায়ী কাজ তৈরি করার কথা বলব।