দূর দূরান্ত পর্যন্ত দাউদ বা ডি কোম্পানির যোগ নেই। রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা মালদার ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীকে দেওয়া হুমকি কাণ্ডে পুলিশের জালে ধরা পড়ল অন্যতম অভিযুক্ত। শনিবার এ ঘটনায় ইংরেজবাজারের নিউ যদুপুরের কমলাবাড়ির বাসিন্দা সাহাদাত শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ডি কোম্পানির ভুয়ো পরিচয় ব্যবহার করে কৃষ্ণেন্দুকে ফোনে হুমকি দেয় সাহাদাত। ঘটনায় আরও ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন বিহারের বাসিন্দা। এই ঘটনার সঙ্গেও বিহারযোগ ভাবাচ্ছে পুলিশকে।
কেন হঠাৎ কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীকে হুমকি দিল সাহাদাত?
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে, সম্প্রতি জমির ব্যবসায় বিস্তর লোকসান হয়েছিল সাহাদাতের। হাতটান পড়তেই অসৎ উপায়ে টাকা উপার্জনের ফন্দি আঁটে সে। কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে চাওয়াই তার উদ্দেশ্য ছিল।
যাতে মোবাইল লোকেশন দেখে তদন্তকারীরা তাকে খুঁজে না পায় সে জন্য কলকাতায় এসে সে ফোন করে। এরপর ফিরে যায় মালদাতেই। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা খতিয়ে দেখতে সাইবার বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এরপরই একের পর এক প্রশ্নের উত্তর পেতে শুরু করে পুলিশ।
যদিও এই দলের সঙ্গে বিহারের একজনের যোগ পাওয়া ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। কিছুদিন আগেই মালদার ইংরেজ বাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলার দুলাল সরকারের খুনের ঘটনাতেও বিহারের দুষ্কৃতীদের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলার সুশান্ত ঘোষের উপরে হামলার ঘটনাতেও বিহার থেকে ভাড়া করে আনা দুষ্কৃতীদের ব্যবহার করা হয়েছিল। এ বার নতুন করে এ ঘটনাতেও বিহারের একজনের নাম জড়ানো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের।
উল্লেখ্য, শুক্রবার একটি হুমকি ফোন পেয়েছিলেন ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ একটি ফোনে তাঁকে বলা হয়, ‘ডি কোম্পানি থেকে প্রদীপ বলছি। ২০ পেটি (কোটি) দাও। না বলে তোমাকে এবং তোমার পরিবারকে খুন করে দেব।’ ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল তিনি। মালদার রাজনৈতিক মহলেও বিস্তর শোরগোল পড়ে যায়।