ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বিধানসভায় জানিয়েছিলেন, ২৬-এর নির্বাচনের আগে রাজ্যে ভুয়ো ভোটার ঢুকিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে। নিশানা ছিল বিজেপি। নেত্রীর নির্দেশের বিভিন্ন জেলায় ভুয়ো ভোটার ধরতে তৎপর হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুরের চম্পাহাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কয়েক হাজার ‘ভুয়ো ভোটার’ রয়েছে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। চম্পাহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অসিত বরণ মণ্ডল জানান, ব্লকের নির্দেশে তাঁরা ভোটার তালিকা স্ক্রুটিনি করার সময় দেখেন প্রতিটি এলাকায় প্রচুর ভুয়ো ভোটার রয়েছে ৷ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা যেমন শিলিগুড়ি, রায়গঞ্জ, মুর্শিদাবাদ, মালদা থেকে প্রচুর ভুয়ো ভোটারের নাম রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন৷ তিনি বলেন, ‘ভোটার তালিকায় থাকা ফোন নম্বরে ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানা যাচ্ছে, তাঁরা বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা ৷’ বিষয়টি নিয়ে বিডিও অফিসে অভিযোগ জানানো হবে বলেও সিদ্ধান্ত তৃণমূলের।
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘অবৈধ অনুপ্রবেশের বিষয়টি রাজ্যের হাতে নেই। সীমান্ত পাহারা দেয় বিএসএফ। সেখান থেকে বাইরের লোক ঢুকছে। রাজ্য প্রশাসন সতর্ক বলেই এটা ধরা পড়ছে।’
যদিও বিষয়টি নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে বামেরা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘রাজ্যে ভুয়ো ভোটার রয়েছে সেই অভিযোগ অনেক আগে থেকেই আমরা করে এসেছি। ভুয়ো ভোটারের ভোটেই নির্বাচিত এই সরকার।’ অন্যদিকে বিজেপির যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনোরঞ্জন জোয়ারদারের বক্তব্য, ‘রাজ্য সরকারের কর্মীরাই নির্বাচন কমিশনের হয়ে ভোটার তালিকার কাজ করেছেন৷ তাঁদের একাংশই এই কাজ করেছেন৷ রাজ্য সরকারী কর্মীদের তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত করেছে।’