অবৈধভাবে বালি পাচারের অভিযোগে চালক ও খালাসিকে গ্রেপ্তার করল কোতুলপুর থানার পুলিশ। একই সঙ্গে বালি বোঝাই লরিটিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কোতুলপুর নাকা পয়েন্টে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধভাবে বালি পাচারের অভিযোগ আসছিল। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে কোতুলপুরে নাকা তল্লাশি করছিল কোতুলপুর থানার পুলিশ। তারই মাঝে বিষ্ণুপুরের দিক থেকে বালি বোঝাই করে আসছিল লরিটি।
নাকা চেকিং পয়েন্টে লরিটিকে আটক করে কোতুলপুর থানার পুলিশ। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় বালি বোঝাই লরি-সহ চালক সত্যজিৎ চক্রবর্তী ও খালাসি বিধান বেতালকে আটক করে পুলিশ। ধৃতদের বাড়ি কাকদ্বীপ ও সীতারামপুর বেতালপাড়ায়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিষ্ণুপুর এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালি কাকদ্বীপে পাচারের চেষ্টা করছিল অভিযুক্তরা।
বিষ্ণুপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুপ্রকাশ দাস জানান, কোতুলপুর থানা এলাকার নাকা চেকিংয়ের সময় বালি বোঝাই একটি লরিকে আটক করে পুলিশ। বৈধ চালান না পাওয়ায় অবৈধ ভাবে বালি চুরির অভিযোগে চালক ও খালাসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে, রাজ্যে বালি পাচার নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিছুদিন আগেই নবান্নের প্রশাসনিক এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। সেই সঙ্গে বালি পাচার বন্ধ করতে পুলিশ ও আধিকারিকদের কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরেও বেআইনি বালি পাচার চলছে অভিযোগ স্থানীয়দের।